বর্তমানে রাজ্যে ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি রয়েছে কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে। এই ল্যাবরেটরি দুটিতেই খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এবার তৃতীয় ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি তৈরি হচ্ছে মালদা জেলায়। মালদা এবং পার্শ্ববর্তী জেলায় হোটেল, রেস্তোরাঁগুলিতে বা খাবারের দোকানগুলিতে প্রায়ই হানা দিয়ে থাকেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে খাবারের নমুনা পরীক্ষার জন্য ওই দুটি ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। তবে রিপোর্ট আসতে অনেক দেরি হয়। জেলায় নতুন ল্যাবরেটরি তৈরি হলে এবার দ্রুত খাবারের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই ল্যাবরেটরি চালু হলে সেখানকার বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তরাঁয় তৈরি খাবারের মান নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: পচা, বাসি খাবার বিক্রি, দোকানদারদের কান ধরিয়ে ওঠবস করালেন আধিকারিকরা
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে মালদা জেলায় বিশেষ করে মালদা শহরে খাবারের দোকান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় শ’খানেক হোটেল রয়েছে মালদা শহরে। এছাড়াও একশোর বেশি রেস্তোরাঁ রয়েছে। আর তাছাড়া ফুটপাতেও প্রচুর খাবারের দোকান রয়েছে। এই দোকানগুলিতে প্রায় দিনভরই মানুষের ভিড় থাকে। আর দুর্গাপুজোর মতো উৎসব শুরু হলে তো বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই হোটেল, রেস্তোরাঁ বা ফুটপাতের দোকানগুলিতে তৈরি খাবারের মান নিয়ে চিন্তিত নন ভোজন রসিকরা। এর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে মাছ, মাংস, সবজির দোকানও বেড়েই চলেছে শহরে।
অনেক ক্ষেত্রে খাদ্য সুরক্ষা দফতর অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে নষ্ট করে দেয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে। কিন্তু, বিভিন্ন দোকান থেকে সংগ্রহ করা খাবারের নমুনা পরীক্ষার জন্য খাদ্য সুরক্ষা দফতরকে হয় কলকাতা অথবা শিলিগুড়িতে পাঠাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হয় ফলে পদক্ষেপ করতেও দেরি হয়ে যায়। সেই সমস্যা মেটানোর জন্য জেলার খাদ্য সুরক্ষা দফতরের তরফে ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে।