
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার আগেই এবার কংগ্রেসের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল। মালদহের গনি খান পরিবারে এই অন্তরদ্বন্দ্ব দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে যথেষ্টই অস্বস্তিতে প্রদেশ কংগ্রেস। বর্তমানে মালদা দক্ষিণের সাংসদ রয়েছেন আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুবাবু। ফলে তাঁর অনুগামীদের আশা ছিল গতবারের জয়ী প্রার্থীকে এবারও লোকসভা ভোটে দাঁড় করাবে দল। কিন্তু, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার আগেই লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন তাঁর ছেলে ঈশা খান চৌধুরী। এনিয়ে আবু হাসেম খান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এবং অনুগামীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ আবু হাসেম খানকে ঘরবন্দি রেখেই লোকসভার প্রচার চালাচ্ছেন তাঁর ছেলে ঈশা খান। এই ঘিরে মালদায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই সুযোগে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে রাজ্যে ২টি আসনে লড়বে কংগ্রেস, ঘোষণা ডালুর, জানেই না দলের নেতারা
কংগ্রেস সাংসদের ঘনিষ্ঠদের দাবি, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে কলকাতায় ঘরবন্দি করে রাখা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এবার লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা আবু হাসেম খান চৌধুরী নিজের মুখেই জানিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ৫ বছর পর তিনি অবসর নেবেন। তারপর তাঁর ছেলেকে দাঁড় করাবেন। কিন্তু, অভিযোগ তাঁর সঙ্গে কাউকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গেলেও ফোন কেটে দেওয়া হচ্ছে।
অনুগামীদের দাবি, তারা ডালুবাবুকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। শুধু তাই নয়, অনুগামীদের একাংশ দাবি করেছেন, ডালুবাবু ভোটে না দাঁড়ালে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস হেরে যাবে। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবু হাসেম খান চৌধুরীর ছেলে ঈশা খান চৌধুরী।
তাঁর বক্তব্য, এইসব ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ঠিক নয়। আবু হাসেম খান চৌধুরী শুধু তাঁর বাবা নন, তিনি তাঁর নেতা। বাবাকে তিনি অনুসরণ করে চলেন। জেলা সভাপতির কথামতো তিনি চলেন। যদি তাঁর বাবা তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্ব করতে বলেন তবেই তিনি লড়বেন। ঈশা খান চৌধুরী আরও দাবি করেছেন, তাঁর বাবাই লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য তাঁর নামের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি নিজে প্রস্তাব পাঠাননি। ঈশা খানের স্পষ্ট বক্তব্য, বাবা ছেলের মধ্যে ষড়যন্ত্রের কোনও ব্যাপার নেই।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports