খড়দার তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগে বুধবারই কলকাতার গল্ফ গ্রিন এলাকার একটি বাড়ি থেকে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর গ্রেফতারির পর পুলিশি জেরায় যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তাঁর পালটা দাবি, আক্রান্ত তরুণী বিবাহিত ও এক সন্তানের মা। তিনিই আরিয়ানকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।জেরায় আরিয়ান জানিয়েছেন, অভিযোগকারিনী মিথ্যা বলছেন। তাঁদের বাড়িতে তরুণীর ওপর কোনও রকম নির্যতন হয়নি। তরুণীর সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়। তরুণী বিবাহিত ও তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। পরিচয়ের কিছুদিন পর তাঁদের বাঁকড়ার বাড়িতে চলে আসেন তরুণী। সেখানে এসে তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু তরুণী অন্য সম্প্রদায়ের হওয়ায় ও তাঁর স্বামী সন্তান থাকায় তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হননি আরিয়ান। আরিয়ানের প্রশ্ন জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন তরুণী। অত্যাচার করলে তিনি বেড়াতে গেলেন কেন?অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তিনি মুম্বইয়ে প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু করোনার সময় কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজ্যে ফিরে আসেন তিনি। এর পর নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলে মিউজ়িক ভিডিয়ো বানিয়ে ইউটিউবে প্রকাশ করতে থাকেন। তাঁদের প্রযোজনা সংস্থার অনেক তরুণী কাজ করেছেন। কিন্তু অন্য কেউ এই ধরণের কোনও অভিযোগ করেননি।আরিয়ান বলেন, তাঁকে বিয়ে করতে স্বামীকে ডিভোর্স দেবেন বলে ঠিক করেন তরুণী। সেজন্য তাঁর বাড়ি থেকে চলে যান নির্যাতিতা। সম্ভবত, ডিভোর্স নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা চলার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। তাঁকে তাদের বাড়িতে কখনও আটকে রাখা হয়নি।আরিয়ানের দাবি, সম্প্রতি তরুণী বলেন, তাঁর সামনের কিছু চুল মুখে এসে পড়ছে। তখন তার সামনের কিছু চুল কেটে দেওয়া হয়েছিল। সেই চুলই তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে।