উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে ফের বাড়িতেই পরিবারের মদতে ধর্ষণের শিকার এক নাবালিকা। এই ঘটনায় নাবালিকার মা ও মায়ের প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ১৫ বছরের ওই নাবালিকা বাড়িতেই গৃহশিক্ষকের কাছে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পান চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা। নাবালিকার ঠাকুমা চাইল্ড লাইনে এই অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে তাঁরা জানতে পারেন, গৃহশিক্ষকের সঙ্গে নাবালিকার মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। মেয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অভিযোগ জানানো তো পরের কথা, উলটে প্রেমিককে লাগাতার সাহায্য করে গিয়েছেন তিনি। ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখতে মেয়েকে খাইয়েছেন ঘুমের ওষুধ ও গর্ভনিরোধক বড়ি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মহিলার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই যুবকের। মহিলার সঙ্গে যুবকের প্রণয়ের কথা কানাঘুসো সবাই জানত। এলাকাবাসীর মুখ বন্ধ করতে যুবককে মেয়ের গৃহশিক্ষক নিয়োগ করেন তিনি। এর পর গত ২ বছরে যুবক ও নাবালিকাকে বারবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন অত্যাচার সহ্য করে সম্প্রতি ঠাকুমাকে বিষয়টি জানায় নাবালিকা। এর পর তিনি চাইল্ড লাইনে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে মা ও মায়ের প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারা দেওয়া হয়েছে। রবিবার তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।সপ্তাহ কয়েক আগে গোপালনগরে এক নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তার বাবার বিরুদ্ধে।