সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বুধবার একাদশ – দ্বাদশের নম্বর কারচুপি করে চাকরি পাওয়া তথাকথিত শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ৯০৭ জনের সেই তালিকায় রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী তৃণমূলি সভাধিপতি কবিতা বর্মনের নাম। যদিও কবিতাদেবীর দাবি, পরীক্ষা দিয়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চাকরি পেয়েছেন তিনি। বিরোধীদের দাবি, শাসকদলের নেত্রী হওয়ার সুবাদে কারচুপি করে তাঁকে চাকরিতে ঢোকানো হয়েছে।
বর্তমানে উত্তর দিনাজপুরের বালিজোড় হাই স্কুলের শিক্ষিকা কবিতাদেবী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে আমি পরীক্ষা দিই। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আমি চাকরিটা পাই। পরীক্ষায় আমি ৫৩ পেয়েছিলাম। তার পর আমাকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। আমার নাম কেন তালিকায় এল তা আমি জানি না। আমি কোনও দুর্নীতিতে যুক্ত নই। পদ্ধতি মেনেই আমার চাকরি হয়েছে। তার পরেও তালিকায় ৩০০ নম্বরে আমার নাম রয়েছে। এখনো আমাকে আদালত বা SSC-র তরফে কিছু জানানো হয়নি। দরকারে আদালতে যাব।
একাদশ – দ্বাদশের কারচুপি করে চাকরি পাওয়াদের তালিকা প্রকাশের বিরোধিতা করতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ছুটেছে SSC. তবে কেন তাদের এই তৎপরতা তা এবার বোঝা যাচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের। তাদের দাবি, দলের নেত্রী হওয়ায় কবিতা দেবীকে অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছে তৃণমূল।