সামনে মুদি দোকান। আর তার আড়ালে বেআইনি মদ বিক্রির কারবার। এটা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না মৈপীঠের মহিলারা। রোজই স্বামীরা মদ্যপান করে বাড়িতে এসে ঝামেলা পাকায়। আর পাড়ার যুবকরা মদ্যপান করে মেয়েদের উত্যক্ত করে বলে অভিযোগ। এবার এই ঘটনা ধরে ফেললেন মহিলারা। আর তারপরই রবিবার রাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠে। এই গ্রামের মহিলারা একজোট হয়ে বেআইনি মদ বিক্রির প্রতিবাদে সরব হন। এমনকী উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে মহিলারা দোকান ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রোজকার ঝামেলার অবসান চেয়েছিলেন গ্রামের মহিলারা। তাঁরা যে মুহূর্তে টের পান মুদির দোকানের আড়ালে বেআইনি মদের কারবার চলছে তখনই সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আর সেখানে মজুত থাকা মদও নষ্ট করে দেন তাঁরা। বেদম প্রহারের সঙ্গে গোটা দোকান তছনছ করে দেওয়া হয়। ভাঙচুর, মারধরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রবিবার রাতের মৈপীঠ। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বেশি রাতে মৈপীঠ উপকূল থানার দেবীপুর শনিরমোড় এলাকায় মুদির দোকানের আড়ালে থাকা মজুত মদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। যার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপির লোকেরা ধর্মের চশমা খুলে দেখুন সারা দেশ সঙ্কটে রয়েছে’, তোপ অভিষেকের
এই দোকান ভাঙচুরের সময় যারা বাধা দিতে এসেছিল তাদের বেদম প্রহার করা হয় বলে অভিযোগ। তখন সেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তখন সেখানে পুলিশকে ঘিরে চলে ব্যাপক বিক্ষোভ ও হাঙ্গামা। পুলিশ অভিযুক্ত বিক্রেতাকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে মহিলারা লাঠি নিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত বিক্রেতাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশকে সরাসরি ধাক্কা দেওয়া হয়। লাঠি দিয়ে পিছন থেকে মারাও হয় বলে অভিযোগ উঠেছে মহিলাদের বিরুদ্ধে।