কীভাবে গোটা পরিস্থিতি সামলাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। রবিবার মাঝরাতে আগুন লাগলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে ভোর হয়ে যায়। সোমবার সকালেও ওখানে কাজ করছে দমকলবাহিনী। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। দুর্গাপুজোর আগে এমন ঘটনায় হতাশ সকলে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল ৬০টি দোকান।
শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়ি চৌরঙ্গী এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল ৬০টি দোকান। মাঝরাতে এলাকার মানুষ হঠাৎ দেখতে পায় বাজার থেকে আগুনের লেলিহান শিখা বেরোচ্ছে। তখনই খবর দেওয়া হয় নকশালবাড়ি থানা ও নকশালবাড়ি দমকল বিভাগে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় নকশালবাড়ি দমকল বিভাগের তিনটি ইঞ্জিন। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে পরবর্তীতে শিলিগুড়ি থেকে ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করে। খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে আসেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে বাজারে আগুন লাগার ফলে ব্যবসায়ীদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত ১২টা নাগাদ আগুন লাগে এই বাজারে। দুর্গাপুজোর কেনাকাটা করতে অনেকেই এই বাজারে ভিড় করেন। তার মধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে যায়। গোটা এলাকায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। প্রথমে একটি দোকানে আগুন লাগে। এরপর ধীরে ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য দোকানগুলিতে। নিমেষে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিল দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। তা দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন দমকল কর্মীরা। তবে আগুন নেভানোর কাজ চলাকালীনই আচমকা জল শেষ হয়ে গেলে দমকলের আরও ইঞ্জিন আনতে হয়। ফলে আগুন নেভাতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়।
অন্যদিকে এখনও আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তবে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলির মধ্যে মুদিখানা, গিফট, জামাকাপড়–সহ আরও অন্যান্য দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দমকল পৌঁছতে দেরি করেছে বলেই এত বড় পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। তার জেরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাজারে। আগুনে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্গাপুজোর মুখেই এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার জিনিসপত্র। বাসিন্দারা জানান, বারবার বলা সত্ত্বেও অতিরিক্ত দমকলের ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়নি।
আর কী জানা যাচ্ছে? দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে এমন ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের। কীভাবে গোটা পরিস্থিতি সামলাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। রবিবার মাঝরাতে আগুন লাগলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে ভোর হয়ে যায়। সোমবার সকালেও ওখানে কাজ করছে দমকলবাহিনী। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ এদিন ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আগে বাজারে ঘটেনি বলেই জানান ব্যবসায়ীরা। দুর্গাপুজোর আগে এমন ঘটনায় হতাশ সকলে।