শিক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে গোটা রাজ্যের বাতাবরণ গরম হয়ে রয়েছে। তার মধ্যে আরও একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। হুগলিতে স্কুল–কলেজ মিলিয়ে মোট ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তফসিলি জাতি–উপজাতি পড়ুয়া বৃত্তির টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, অঙ্কটি কয়েক কোটি টাকারও বেশি। যার কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
ঠিক কী ঘটেছে হুগলিতে? জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই জেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীর ভুয়ো পরিচয় দেওয়া হয়েছে। আর তা দিয়ে মোট ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯০০ টাকা গায়েব করা হয়েছে৷ গোটা বিষযটি নিয়ে বড় দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কারণ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর সঙ্গে সম্পর্কহীন কলেজ এবং বেশ কয়েকটি স্কুলেও বি–টেক (আইটি) বা বিই(আইটি) পড়ানো হচ্ছে বলেও দেখানো হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, গত তিনটি অর্থবর্ষে ২০২০–২০২১, ২০১৯–২০২০ এবং ২০১৮–২০১৯ দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের শোকজ করা হয়েছে।
কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? কারণ দর্শানোর চিঠিতে অতিরিক্ত জেলাশাসকের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অন্যায়ভাবে অনুমোদনের ভিত্তিতে একটি বিশাল সংখ্যক উপভোক্তা টাকা তুলে নিয়েছে। আর সরকারি তহবিল অপব্যবহার করেছে। কেন এই অবহেলা? তা লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, ‘আমাদের ইন্টারন্যাল অডিটে যে গড়মিলের খোঁজ মিলেছে, তার কারণ জানতে চেয়েছি। কী রিপোর্ট আসে দেখা যাক।’