মালদা, মুর্শিদাবাদে নদী ভাঙন একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে বর্ষা এলেই নদীর পাড় ভেঙে তলিয়ে যায় একের পর এক ঘরবাড়ি, বিঘার পর বিঘা জমি। কিন্তু এবার বর্ষার আগেই কার্যত শুখা মরশুমে নদী পাড় ভ্রমণের ফলে ধস নেমেছে নদী তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। এছাড়া বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে আতঙ্ক রয়েছেন এলাকাবাসীরা। মুর্শিদাবাদে রঘুনাথগঞ্জের রানিনগর গ্রামে নদী তীরবর্তী একটি গুরুত্বপুর্ণ রাস্তায় ধস নেমেছে। তার ফলে আশেপাশের একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। এছাড়াও, কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আপাতত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় স্থানীয়রা অবিলম্বে নদী পাড় স্থায়ীভাবে বাঁধানোর দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রুখতে মাস্টারপ্ল্যান রাজ্যের, জানালেন সেচমন্ত্রী মানস
রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের রানিনগর গ্রামের ঠিক পাশ দিয়েই ভাগীরথী বয়ে গিয়েছে। এই গ্রামটি বেশ ঘনবসতিপূর্ণ। আর এই রাস্তাটি নদীর পাড় বরাবর চলে গিয়েছে। গত বছর বৈকুণ্ঠপুর কাটান এলাকায় ভাঙনের ফলে রাস্তার একাংশ নদীর পাড়ে ঝুলে রয়েছে। কোনওভাবে বাঁশ দিয়ে ভাঙন আটকায় প্রশাসন। রাস্তাটি সম্প্রতি ঢালাইয়ের করা হয়েছে। ফলে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে রঘুনাথগঞ্জ শহরে যাতায়াত করেন। ফলে এই রাস্তাটি তাঁদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধস নামায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাস্তা সংলগ্ন বেশ কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর ফলে আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মালদা, মুর্শিদাবাদের নদী ভাঙন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। কিছুদিন আগেই এই সমস্যার সমাধানে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বিধানসভায় জানিয়েছিলেন, নদী ভাঙন রুখতে মাস্টারপ্ল্যানের উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।