1 মিনিটে পড়ুন Updated: 07 May 2024, 06:51 PM ISTAyan Das
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি রক্ষা পাওয়ার পরে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশি এবং মানসিকভাবে তৃপ্ত।'
আপাতত ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি রক্ষা পেয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের উপর সুপ্রিম কোর্ট অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আর তারপরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন যে ‘ন্যায়প্রাপ্তি’ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আর ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চের রায়ে ‘মানসিকভাবে তৃপ্ত’ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশি এবং মানসিকভাবে তৃপ্ত। সমগ্র শিক্ষক সমাজকে জানাই আমার অভিনন্দন এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্টকে জানাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।’
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, তাতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ শীর্ষ আদালতে এসএসসির তরফে জানানো হয় যে ১৯,০০০ চাকরি বৈধ। যোগ্য প্রার্থীদের তালিকাও দিতে পারবে বলে দাবি করেছে এসএসসি। আগামী ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে ফের সেই মামলা উঠবে।
২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরে এক চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের উপর আমাদের সবসময় আস্থা আছে। আমাদের সবসময় বিশ্বাস ছিল যে যাঁরা দুর্নীতি করেননি, তাঁদের প্রতি সুবিচার করবে। যাঁরা দুর্নীতি করলেন, তাঁদের শাস্তি হোক। যাঁরা মন্ত্রিসভার সদস্য, তাঁদের শাস্তি হোক। আমরা তো দুর্নীতি করিনি। আমরা দুর্নীতি করে চাকরি পাইনি। তাহলে আমাদের কেন শাস্তি হবে? আমরা জানি, আমাদের অর্থাৎ যোগ্যদের সম্মানের সঙ্গে স্কুলে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে সুপ্রিম কোর্ট।’
মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আজ কলকাতার রাজপথে বসে যোগ্য শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন - এটা কি কোনও ভালো সরকারের আমলে হয়? কিন্তু এই রাজ্যে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, এই অন্যায় করবেন না। প্লিজ, প্লিজ। যোগ্য সম্মানে আমাদের স্কুলে আমাদের ফিরে যেতে দিন।’