বন দফতরের জমিও দখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ উঠতেই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রঘুনাথপুরের একটি ইস্পাত কারখানা বন দফতরের জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরুলিয়া–বরাকর রোডের উপর অবস্থিত ওই ইস্পাত কারখানা। তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ বন দফতরের জমি দখলের। তবে বিষয়টি এখানে থেমে থাকেনি। এই অভিযোগ জমা পড়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল এবং বন দফতরের উচ্চপদস্থ অফিসারদের কাছে। তবে বনদফতরকে কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ উঠছে।
এদিকে প্রশাসন সূত্রে খবর, রঘুনাথপুর–১ ব্লকের লছমনপুর, দিগারডি, ঝাড়ুখামার সহ নানা মৌজার প্রায় কয়েকশো একর জমিতে গড়ে উঠেছে ইস্পাত কারখানা। তার সঙ্গে বন দফতরের জমিও দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বন দফতর সূত্রে খবর, ১৯৬৬ সালের ক্যালক্যাটা গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী শিকরাট্যাঁড় মৌজার তিনটি প্লট মিলিয়ে প্রায় ৮০ একর জমি বন দফতরের। সেখানের প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে বনসৃজনও করেছে বনদফতর। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কয়েক বছর আগে ওই জমি দখল করে নেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এমনকী কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরেও ফেলেছে। তার ভিতরে কংক্রিটের রোড করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: শ্মশানের ইলেকট্রিক চুল্লি বন্ধ ১১ দিনের বেশি, মরদেহ ফেরাতে হচ্ছে, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা
অন্যদিকে এই জমি দখলের অভিযোগ জমা পড়তেই বন দফতর তদন্ত শুরু করেছে। তবে তারা অনেক সময় নিচ্ছে বলেও খবর। এই বিষয়ে রঘুনাথপুরের রেঞ্জার নীলাদ্রি শাখা বলেছেন, ‘তদন্ত করে রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জমা দিয়েছি।’ আর জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে কংসাবতী উত্তরের ডিএফও বিপাশা সুরুল বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ এই আবহে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, একাধিক পুকুর ভরাটও করেছে তারা। এই ইস্পাত কারখানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে আছে সেনেরার পাহাড় এবং জঙ্গল। এখানের বন্যপ্রাণীরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পান করে জল ওই পুকুরগুলি থেকে।