ঘাটাল এবং মালদায় জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল সরকারি হাসপাতাল। আর এবার বেসরকারি নার্সিংহোম মৃত রোগীকে জীবিত বলে সারারাত চিকিৎসা চালিয়ে গেল বলে অভিযোগ। এই ঘটনাটিও ঘটেছে মালদায়। আজ, রবিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইংলিশবাজার থানায়। মালদা শহরের গৌড় রোড এলাকায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওটায় তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে মালদায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম বনমালী সরকার। বাড়ি মালদার গাজোল থানার শিক্ষক পল্লী এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, অসুস্থ থাকায় ওই ব্যক্তিকে শনিবার গৌড় রোড এলাকার এই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রাতে ফোন করে বলা হয় জরুরি ভিত্তিতে রক্ত লাগবে। পরে বলা হয় রাতে না দিতে পারলেও সকালের মধ্যে রক্ত জোগাড় করে দিতেই হবে। এই কথাও জানানো হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় বলে অভিযোগ। আসলে পুরোটাই সাজানো বিষয়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? আজ, রবিবার সকালে এসে পরিবারের সদস্যরা জোর করে নার্সিংহোমের ভিতর ঢুকে পড়েন। সন্দেহ হতেই দেখতে যান ভিতরে। আর সেখানে গিয়ে দেখতে পান তাঁদের রোগী মারা গিয়েছে বহুক্ষণ আগেই। মৃত রোগীর জামাই সানি দত্তের অভিযোগ, ‘মৃত মানুষকে কেমন করে সারারাত আইসিইউ–তে রেখে চিকিৎসা করা যায়! আমরা জোর করে ভিতরে ঢুকে দেখতে পাই আইসিইউ–তে রয়েছে রোগী। কিন্তু মারা গিয়েছে অনেকক্ষণ আগে। হাত–পা ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে। অথচ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছুই জানায়নি। বিল বাড়িয়ে চলেছিল।’
আর কী জানা যাচ্ছে? মৃত রোগীকে জীবিত বলে চিকিৎসা চালিয়ে গিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করত নার্সিংহোম বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। এই মর্মে ইংলিশবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অবিলম্বে প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই নার্সিংহোম সিল করে দেওয়ার অনুরোধ জানাবেন বলে জানিয়েছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তবে এই বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু না বললেও শুধু জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন। রক্ত জোগাড় করতে না পারায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup