আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এবার প্রাইভেট চেম্বার করা চিকিৎসক ও প্রাইভেট টিউটরদের নিতে হতে ট্রেড লাইসেন্স, দিতে হবে পুর কর। নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেদিনীপুর পুরসভা। শহররের নার্সিহোম এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলির লাইসেন্সও পুনর্মূল্যায়ন করা হবে বলে পুরসভার বোর্ডের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের থেকে আলাদা ভাবে লাইসেন্স ফি নেওয়া হবে। বোর্ডের বৈঠকের পর পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুর আইন মেনেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে সমস্ত ক্ষেত্রেকেই পুর আইনের আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে পুরসভার আয়ও বাড়বে।’অস্থায়ী কর্মীদের বেতন মেটাতেই নাজেহাল অবস্থা মেদিনীপুর পুরসভার। শহর পরিষ্কার রাখতে অস্থায়ী সাফাই কর্মী রয়েছে প্রায় এক হাজার। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে তাদের বেতন মেটানো হয়। কিন্তু কোষাগারের হাঁড়ির হালে তাদের বেতন দিতে টান পড়ছে ভাঁড়ারে। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দও কমেছে। তাই কী ভাবে আয় বাড়ানো সম্ভব তা নিয়ে ভাাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা চিকিৎসক এবং প্রাইভেট টিউটরদের লাইসেন্সের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এর আগে শহরের হকার ও ফুটপাত ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০ এবং ২০ টাকা করে সাফাই কর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার চিকিৎসক এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে কর নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় মেদিনীপুর পুরসভা। পুরসভার যুক্তি হল, মেদিনীপুর শহরের প্রচুর চিকিৎসক আছেন যাঁরা পাঁচশ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নিয়ে চিকিৎসক করেন। কিন্তু পুরসভাকে এক পয়সাও কর দেন না। তাঁদের এবার চেম্বার চালাতে হলে এবার পুরসভার লাইসেন্স দিতে হবে।এর সঙ্গে যে শিক্ষিকরা পেশাদার হিসাবে ছাত্র পড়ান তাঁদের কোচিং চালাতে হবে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। পুরপ্রধানে মতে, এরা সবাই ব্যবসায়িক ভিত্তিতে টাকা রোজগার করে অথচ পুরসভাকে কোনও কর দেন নাা। সে কারণেই তাদের লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে। পুরপ্রধান আরও জানান, নার্সিহোম ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারগুলি প্রথমে ছোট করে শুরু করেন। তার পর ব্যবসা বাড়লেও পুরসভার ক্ষেত্রে তাঁরা পুরনো করই দিয়ে থাকেন। তাছাড়া নার্সিহোমগুলি ভ্যাটেই হাসপাতাল বর্জ্য ফেলে দেন। এটা চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর। তাই পুরসভার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নার্সিংহোমগুলি থেকে হাসপাতাল বর্জ্য তুলে আনবে পুরসভার বিশেষ গাড়ি। তার জন্য আলাদা চার্জ দিতে হবে নার্সিং হোমগুলিকে।