প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যবসায়ীকে এলাকা ছাড়া করারও নিদান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা।জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতার নাম বিপ্লব দাস। কুমারগ্রামের বিজেপি জেলা সম্পাদক। ব্যবসায়ীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছিল শনিবার।অভিযোগ, পোস্টের পরেই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হন একদল যুবক। নেতৃত্বে ছিলেন বিপ্লব দাস। শুধু কান ধরিয়ে ওঠবস নয়, ব্যবসায়ীকে সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছাড়ারও নিদান দেওয়া হয়। যদিও বিজেপি নেতার দাবি, প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ওই যুবক সামজমাধ্যমে কুমন্তব্য করেছিলেন। সাধারণ মানুষ তাঁকে কান ধরে ওঠবস করিয়েছেন। তবে তিনি শুধু সামনে ছিলেন।এদিকে, সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ রবিবার ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। বিধায়কের অভিযোগ, যে যুবক প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের নামে কুমন্তব্য করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। অথচ যিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।বিজেপির অভিযোগ, ওই যুবক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট করেছিলেন। এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যুবককে হেনস্থার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।