কুকথাকাণ্ডে দলের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কি বিজেপির দ্বারস্থ হলেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি দলবদল করতে পারেন তিনি। গত কয়েকদিনের ঘটনাক্রমে এই গুঞ্জন শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। কারণ, তাবড় তৃণমূল নেতাদের বাদ দিয়ে কুকথাকাণ্ডে আইনি লড়াইয়ের জন্য বীরভূম বিজেপি লিগাল সেলের অন্যতম নেতা বিপত্তারণ ভট্টাচার্যের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। অনুব্রতর জন্য থানা পুলিশ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও বিজেপির দাবি, পেশাদার আইনজীবী যে কারও মামলা লড়তে পারেন। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই।
গত শুক্রবার অনুব্রতকে হাজিরা নোটিশ পাঠায় পুলিশ। শনি ও রবিবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি অনুব্রত। সেসময় অনুব্রতর হয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে বিপত্তারন ভট্টাচার্যকে। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে, জেলায় তৃণমূলের এত নামী আইনজীবী থাকতে বিজেপি নেতাকে কেন নিয়োগ করলেন অনুব্রত? তবে কি বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে তাঁর।
তবে বিষয়টির এতটা সরলীকরণ করতে নারাজ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, এটা ঠিক যে দল অনুব্রতর পাশে নেই। জেলার রাজনীতিতেও কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছেন তিনি। আর সেজন্যই দলের নেতাদের বিশ্বাস করতে পারছেন না অনুব্রত। আবার ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তৃণমূল নেতারাও অনুব্রতর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন। সেজন্য বিজেপি নেতার কাছে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলের উকিলদের কেরামতি সবাই জানে। ওরা সরকারি প্যানেলে আছে। আসামীদের কাছ থেকে টাকা তুলে ওদের পেট চলে। ব্যক্তিগত মামলা লড়ার যোগ্যতা ওদের নেই। কেষ্টর পাশে দাঁড়ালে যদি সরকারি প্যানেল থেকে নাম বাদ চলে যায়, সেই ভয়ে কেউ ওর মামলা নিচ্ছে না।’
তবে সূত্রের খবর, অনুব্রতর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা কার্যত নেই। তবে আসন্ন বিধানসভা ভোটে বীরভূমে বিজেপিকে পিছন থেকে সহযোগিতা করতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় অনুব্রতর অনুগামীরা দলে দলে বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন। অনুব্রতর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কড়া পদক্ষেপ করলে আরও বাড়তে পারে সেই যোগদানের সংখ্যা।