দিনভর বিতর্কের পর অবশেষে সিপিএম নেতার নামে ভাইরাল হওয়া ১২ বছর আগের সুপারিশপত্রের। এই নিয়ে সিপিএমকে চেপে ধরতে ওই সুপারিশপত্রে যে স্কুলের নাম রয়েছে সেখানে খোঁজ খবর করে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, যে ব্যাক্তির নামে সুপারিশপত্র জারি হয়েছে তিনি সেখানে কখনও চাকরি করেননি। ওদিকে সিপিএমের তরফে প্রথম থেকেই দাবি করা হয়েছে, সুপারিশপত্রটি ভুয়ো।গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরে ভাইরাল হয় সিপিএমের একটি সুপারিশপত্র। পার্টির পাচরা লোকাল কমিটির প্যাডে এক ব্যক্তিকে সরকারি স্কুলের গ্রুপ ডি পদে সুপারিশ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ২৭ - ১২ - ২০০৮ তারিখে সুপারিশপত্রে লেখা ছিল, ‘কমরেড, আমি শ্রী মোহিতলাল হাজরা গ্রাম পালজাগুল পোস্ট জাগুল জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর জানি ও চিনি। এবং খুব দুঃস্থ পরিবারের ছেলে। বামপন্থী আন্দোলনের সাথে যুক্ত। একে আপনার কাছে পাঠালাম। ধেড়ুয়া অঞ্চল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি পদে যে লোক নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে যাহাতে একে নেওয়া যায়, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করছি। পরে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করে নেব।’ নীচে রয়েছে প্রেরকের সাক্ষক, জয়জীম আহাম্মদ।সংবাদমাধ্যমে এই খবর সম্প্রচারিত হতেই শোরগোল শুরু হয়। সিপিএমের তরফে জানানো হয়, ওই সুপারিশপত্র ভুয়ো। সুপারিশপত্রে সুপারিশকারীর পদের উল্লেখ নেই। সিপিআইমের সমস্ত চিঠিতে প্রেরকের সাক্ষরের নীচে তার পদের উল্লেখ বাধ্যতামূলক। দলের তরফে জানানো হয়, সম্ভবত কোনও পরিত্যক্ত প্যাড ব্যবহার করে চিঠিটি কেউ লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে।এর পরই সিপিএমের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে তৎপর হয়ে ওঠে তৃণমূল। যে স্কুলে শূন্যপদ রয়েছে বলে সুপারিশপত্রে উল্লেখ রয়েছে, সেই ধেরুয়া অঞ্চল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেন তৃণমূলের ধেরুয়া অঞ্চলের উপপ্রধান কাজল সিং। কিন্তু খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁকে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান মোহিতলাল হাজরা নামে স্কুলে কখনও কেউ চাকরি করেননি।সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা নিয়োগ দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ থেকে নজর ঘোরাতে এই চক্রান্ত করেছিল তৃণমূল।