হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। শুক্রবার মামলার শুনানি হয়। রাজ্যের নগরন্নোয়ন দফতর, হাওড়া পুরসভা এবং রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এই মামলায় পক্ষ করেছে আদালত। এদিন শুনানির পর হাওড়া পুরসভাকে আগামী ২৩ মে- এর মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনজিটি। বেলগাছিয়া ভাগাড় কী পরিস্থিতিতে রয়েছে? কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? আদালত তা রিপোর্টে হাওড়া পুরসভাকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। (আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে পারদ চড়বে আরও, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা)
আরও পড়ুন: মাটির সহনক্ষমতার বাইরে বর্জ্য, বেলগাছিয়া ভাগাড় নিয়ে বিপদের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
বেলগাছিয়া ভাগাড় সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে গত তিন দশক ধরে যুক্ত রয়েছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাঁকে হলফনামা দিতে বলেছে পরিবেশ আদালত। জানা গিয়েছে, সংবাদমাধ্যমে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে পেরে পরিবেশ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। (আরও পড়ুন: 'মমতার হৃদয় ভারতবিরোধী', বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ বিহারের নেতাদের)
গত ২১ মার্চ বেলগাছিয়া ভাগাড়ে বিপর্যয় শুরু হয়েছিল। একের পর এক ধস নামায় রাস্তাঘাটে ফাটলের পাশাপাশি একশোর বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। সরকার পক্ষ থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা সেই এলাকা পরিদর্শন করেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ভাগাড়ে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য মজুত রয়েছে, যা মাটির সহন ক্ষমতার বাইরে। দ্রুত ভাগার সরানো না হলে আগামী দিনে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম থেকেও বেশি গরম কলকাতার উত্তর শহরতলিতে!
শুক্রবার বিচারপতি বি অমিত স্থলেকর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য অরুণ কুমার ভার্মার বেঞ্চ হাওড়ার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করে। মামলায় সুভাষ দত্ত বেলগাছিয়া ভাগাড় সহ হাওড়া পুরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বেশ কিছু ছবি আদালতের সামনে তুলে ধরেন।
মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বেলগাছিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে আইনি লড়াই দীর্ঘদিনের। ১৯৯৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে কলকাতা হাইকোর্টে একটি গ্রিন বেঞ্চ গঠন করে শুনানির নির্দেশ দিয়েছিল। এটিই ছিল দেশের প্রথম এই ধরণের বেঞ্চ। ২০০৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়া পুরসভাকে বেলগাছিয়ায় বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে এবং ছয় মাসের মধ্যে একটি বিকল্প ভাগাড় খুঁজে বের করতে বলেছিল। সুভাষ দত্তের অভিযোগ, গত তিন দশকে কিছুই করা হয়নি। তারফলে এই পরিণতি। তিনি এরজন্য রাজ্য সরকার এবং পুর কর্তৃপক্ষকে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন। তবে পুর দফতরের দাবি, এর জন্য কাজ চলছে। এর পাশাপাশি ধাপা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুভাষ দত্ত।