৬ বছরের এক স্কুল পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ উঠল অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। তবে কেন খুন করা হয়েছে সে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সিলেবাসের চাপ থেকে মুক্তি পেতে এবং ছুটি পাওয়ার জন্য ওই খুদে পড়ুয়াকে মাথা থেঁতলে খুন করেছিল বছর ১৪–এর কিশোর ছাত্রটি। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার মানবাজার থানার ঘাসতোড়িয়া সারদা শিশু মন্দির শান্তিবনে আবাসিক স্কুলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শুধু তাই নয় এমন ঘটনায় হতবাক খোদ পুলিশ কর্তারা।
আরও পড়ুন: স্কুলের ক্যাম্পাসেই জলে ডুবে মৃত্যু ছাত্রের, পরিবারের অভিযোগে ধৃত মালিক
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল খুদে পুকুরে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছিল। তবে তদন্ত দেখা যায় পুকুরে পড়ে গিয়ে নয়, তাকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে তারপরে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার পরেই অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াকে আটক করে মানবাজার থানার পুলিশ। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এটি পরিকল্পনা করে খুনের ঘটনা। ছাত্রকে আটক করার পর তাকে পুরুলিয়ার শিমুলিয়া আনন্দ মঠ জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে হাজির করা হয়। পরে কিশোরকে হুগলির কল্যাণ ভারতী হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে, কিশোরের ধারণা ছিল যে এরকম কিছু একটা ঘটনা ঘটেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল ছুটি হয়ে যাবে। তার ফলে সে বাড়ি যেতে পারবে। সেই ভেবে পরিকল্পনা করে ৬ বছরের পড়ুয়াকে খুন করেছিল সে। কিন্তু তার পরিণতি যে কি হবে তা কল্পনাও করতে পারেনি ছাত্রটি। জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ১২ দিন আগে ওই আবাসিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিল ছাত্রটি। অন্যদিকে,মৃত পড়ুয়া পুরুলিয়ার একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারের চলে। কয়েক বছর ধরে সে ওখানে থাকত।