ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলার কোহিনুর চা বাগানে শ্রমিকদের বোনাস না মেলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা অবস্থান শুরু করেন। মালিক পক্ষের তরফে শ্রমিকদের জানানো হয়, ১১ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে। যদিও কবে বোনাস দেওয়া হবে সেবিষয়ে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি।
বোনাস নিয়ে বেশ কয়েকটি চা বাগানে শ্রমিক এবং মালিকপক্ষের অসন্তোষ চলছিল। অবশেষে শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছে অনেক চা বাগান কর্তৃপক্ষ। যদিও সেই বোনাস শ্রমিকদের দাবির থেকে কম বলে অভিযোগ উঠেছে। তা সত্ত্বেও পুজোর মুখে বোনাস পাওয়ায় খুশি চা শ্রমিকরা। আলিপুরদুয়ারের কোহিনুর চা বাগান, জলপাইগুড়ির বানারহাটের চামুর্চি চা বাগান, মালবাজার ব্লকের সাইলি চা বাগান কর্তৃপক্ষ বোনাস দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বোনাস দেওয়ার কথা ঘোষণার পরেই শ্রমিকরা পুনরায় কাজ শুরু করেছেন।
ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলার কোহিনুর চা বাগানে শ্রমিকদের বোনাস না মেলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা অবস্থান শুরু করেন। মালিক পক্ষের তরফে শ্রমিকদের জানানো হয়, ১১ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বোনাস নিয়ে বিক্ষোভের জেরে বানারহাটের চা বাগানে ১৪ অক্টোবর থেকে থেকে কাজ হয়ে যায়। ১৬ অক্টোবর জলপাইগুড়ি প্রশাসনের উদ্যোগে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠকে ১৪ শতাংশ বোনাসের দাবি জানান শ্রমিকরা। কিন্তু, মালিকপক্ষ জানিয়ে দেয় ১১ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে পারবে না। শেষমেশ তা মেনে নেন শ্রমিকরা। যদিও শ্রমিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৪ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে। প্রথমে ১১ শতাংশ দেওয়া হবে। পরে তিন শতাংশ মিটিয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, মালবাজার ব্লকের সাইলি চা বাগানেও বোনাস নিয়ে আন্দোলন চলছিল। সেক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বোনাস দেওয়ার সম্মতি জানিয়েছে মালিকপক্ষ। তবে নতুন করে ক্যারন ও সামসিং বাগান বন্ধ হয়েছে। নাগরাকাটার ক্যারনের মালিকপক্ষ ১০ শতাংশের বেশি দিতে রাজি হচ্ছেন না। তবে শ্রমিকরা ১৯ শতাংশ বোনাসের দাবি জানাচ্ছেন। জানা যায়, সোমবার গভীর রাতে মালিক বাগান ছেড়ে চলে যান। মেটেলি ব্লকের সামসিং বাগানও বন্ধ রয়েছে। মালিকপক্ষ বাগান আর চালাতে পারছেন না বলে জানিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। এই অবস্থায় ওই দুই চা বাগানের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।