কচ্ছপের মাংস সহযোগে ভূরিভোজ সেরে প্রাণটাই খোয়াতে হল এক ব্যক্তিকে! অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও ছ'জন! ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলায়। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্যে বিষক্রিয়া ছাড়াও আরও একাধিক কারণে প্রাণ হারিয়েছেন কচ্ছপের মাংস খাওয়া ওই ব্যক্তি।সংবাদ প্রতিদিন-এর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নাম স্বাধীন বাগদি। ৪৮ বছরের স্বাধীন বীরভূমের কাঁকড়তলা থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দিন দুই-তিনেক আগে বাগদি পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্থানীয় আত্মীয়রা খিচুড়ি আর কচ্ছপের মাংস রান্না করে খেয়েছিলেন। অভিযোগ, তারপর থেকেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই রাত থেকেই প্রত্যেকের বমি ও পায়খানা শুরু হয়। এর ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বাধীন বাগদি, তাঁর স্ত্রী মটরা বাগদি এবং তাঁদের দুই আত্মীয় ভুবন বাগদি ও পটা বাগদি।এছাড়াও, এলাকার আরও তিনজন সেদিন রাতে ওই মাংস আর খিচুড়ি খেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরে তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়েন।এই অবস্থায় আক্রান্ত সকলকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, তারপরও স্বাধীন বাগদি ও তাঁর স্ত্রী মটরা বাগদির অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ফলত, তাঁদের দু'জনকেই সিউড়ি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাতেও স্বাধীন বাগদি সেভাবে চিকিৎসায় সাড়া না দেওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে ফের রেফার করা হয়। শেষমেশ শুক্রবার রাতে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।এছাড়াও, এই ঘটনায় অসুস্থ বাকিরা দুবরাজপুর, খয়রাশোল, সিউড়ির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ক্রমে তাঁরা সেরে উঠছেন। তবে, ওই কচ্ছপের মাংস আরও কেউ খেয়েছিলেন কিনা, খেলে তাঁরা সুস্থ আছেন কিনা, সেই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।এই ঘটনায় স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) সব্যসাচী রায়কে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, স্বাধীন বাগদির মৃত্যুর কারণ শুধুমাত্র খাদ্যে বিষক্রিয়া নয়। তাঁর শরীরে অন্য়ান্য সমস্য়াও ছিল বলে জানা গিয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এছাড়াও, এই ঘটনায় আরও যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের তিনজনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। তাই তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে, ওই গ্রামাঞ্চলে আরও কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিএমওএইচ।