বৃহস্পতিবার সকালে নিজের এলাকাতেই আততায়ীর ছোড়া গুলিতে খুন হন মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা তৃণমূল নেতা বাবলা ওরফে দুলাল সরকার।
ঘটনায় শোকস্তব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেন মমতা। তাতে নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশের পাশাপাশি ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লেখেন, 'আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা বাবলা সরকার আজ খুন হয়েছেন।'
‘তৃণমূল কংগ্রেসের একেবারে শুরুর দিন থেকে তিনি (ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার) দলের স্বার্থে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এবং, বাবলা কাউন্সিলর পদেও নির্বাচিত হয়েছিলেন।’
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তি। সেই তিনিই এভাবে দলীয় সহকর্মীর খুনের ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছেন! মমতা তাঁর সোশাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, 'এই ঘটনার কথা জানার পরই আমার মন ভারাক্রান্ত এবং আমি ভীষণ অবাক হয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।'
এর পাশাপাশি, নিহত কাউন্সিলরে পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা। তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করতেও তিনি যে কতটা অসহায়তা বোধ করছেন, তাও গোপন করেননি তৃণমূল নেত্রী।
তিনি লিখেছেন, 'আমি এতটাই হতবাক এবং ব্যথিত যে বুঝতেই পারছি না কীভাবে স্বজনহারা এই পরিবারটিকে সমবেদনা জানাব। ঈশ্বর যেন চৈতালিকে শক্তি দেন। যাতে তিনি টিকে থাকতে পারেন এবং এই লড়াই লড়তে পারেন।'
প্রসঙ্গত, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ নিজের এলাকাতেই গুলিবিদ্ধ হন বাবলা ওরফে দুলাল সরকার। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই এদিন নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কর্মস্থলে (নিজের ব্যবসায়িক কেন্দ্র) যাচ্ছিলেন বাবলা।
নিজের গাড়িতে কারখানার সামনে পৌঁছন বাবলা। তারপর তিনি গাড়ি থেকে নামতেই দু'টি বাইকে চড়ে চারজন আততায়ী সেখানে পৌঁছয়। কেউ কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা বাবলাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, এই সময় অন্তত চার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল। যার মধ্যে তিনটি গুলি লাগে বাবলার শরীরে। তিনি সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণ যায় শাসকদলের ওই নেতার।