পড়ুয়ারা পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে মাধ্যমিক দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহতই থাকল। যত সময় এগোচ্ছে, ততই এই সম্ভাবনা ক্ষীণ হচ্ছে। তবে এর বিকল্প ব্যবস্থা কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসল বিশেষজ্ঞ কমিটি। কীভারে এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে চলেছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সূত্রের খবর এমনটাই। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। সূত্রের খবর, সশরীরে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। কারণ, এখন যা পরিস্থিতি তার মধ্যে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের দিকেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সিবিএসসিইয়ের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার সত্ত্বেও কমিটির সদস্যরা সিবিএসসি’র মতো কেন্দ্রীয় বোর্ডগুলো কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের পরিচালনা করবে, সেই দিকটাও খেয়াল রাখার মতো সময় পাবেন না। কারণ, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানেই জোরালো প্রশ্ন উঠছে যে, তবে কি প্র্যাকটিক্যাল কিংবা অভ্যান্তরীণ নম্বরের ভিত্তিতেই পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হবে? নাকি অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার কোনও নয়া পদ্ধতির ব্যবস্থা করা হবে, তা নিয়েই এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন কমিটির সদস্যেরা। কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ স্কুলেই মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা হয়নি। তবে এই নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, জুলাইয়ে উচ্চমাধ্যমিক, আর অগস্টে মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। সেই ঘোষণায় এখনও কোনও বদল হয়নি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এই বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছে সরকার।