দার্জিলিং চায়ের বাজারে থাবা বসাচ্ছে নেপালের চা। এটা নিয়ে বার বারই দাবি করা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। সাধারণ মানুষের পক্ষে আসল নকল ফারাক বোঝাটা অনেক সময় সম্ভব হয় না। সেকারণেই এবার এই নকল ধরতে উত্তরবঙ্গে দুটি ল্যাবরেটরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের টি অ্য়াডভাইজরি কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই ধরনের ল্যাব তৈরির জন্য প্রায় ৫২ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে খবর। সব মিলিয়ে একেবারে বড় উদ্যোগ।
দার্জিলিং চায়ের ঘরোয়া মার্কেটেই শুধু নয়, রফতানির বাজারেও প্রভাব ফেলছে নেপালের চা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলের তরফে। এই ল্যাবরেটরির মাধ্যমে নেপালের চা ও দার্জিলিংয়ের চায়ের মধ্যে ফারাকটা বোঝা যাবে।অর্থাৎ অর্গানিক টি আর ইন অর্গানিক টি এর মধ্যে পার্থক্যটা বোঝা যাবে।
মূলত জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় দার্জিলিং চায়ের ক্ষেত্রে নেপালের চায়ের ক্ষেত্রে এই বহু ক্ষেত্রে রাসায়নিক ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। তবে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দার্জিলিংয়ের চায়ের সঙ্গে নেপালের চা মিশিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গেই খোলা বাজারে দার্জিলিংয়ের চা -এর নাম করে নেপালের টি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতা সহজে এটা বুঝতে পারেন না। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই চা কিনে নিয়ে তাঁরা যান। অবধারিতভাবে ঠকতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের।সেকারণেই এবার নকল দার্জিলিং চা রুখতে না পারলে আখেরে সমস্যায় পড়বেন দার্জিলিংয়ের চা বাগানের শ্রমিকরা। কারণ এভাবে চলতে থাকলে ক্ষতির মুখে পড়বে দার্জিলিংয়ের চা বাগান। যার প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ চা শ্রমিকদের উপর।