জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের বাগরাকোটে বাংলার প্রথম লুপ সেতুকে ঘিরে পর্যটকদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ রয়েছে। এই সেতুর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য সেখানে ভিড় বাড়ছিল পর্যটকদের। সেই কারণে মাস দেড়েক আগে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পর্যটকদের ছবি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জেলা কর্তৃপক্ষ। এবার পর্যটকরা যাতে ৭১৭এ জাতীয় সড়ক বরাবর নির্মীয়মাণ এই লুপ ব্রিজ থেকে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। বাংলার সঙ্গে সিকিমের সংযোগ স্থাপনকারী এই সেতুতে দুটি নির্দিষ্ট ভিউ পয়েন্ট চিহ্নিত করেছে। সেখানে পর্যটকরা গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছবি তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: গাড়ি থামিয়ে বাংলার প্রথম লুপ সেতুর ওপর থেকে তোলা যাবে না ছবি, জারি নিষেধাজ্ঞা
প্রসঙ্গত, সেতুর নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। তারপরও সেখানে পর্যটকদের ভিড় হওয়ায় সামলাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে প্রশাসনকে। সেই কথা বিবেচনা করেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম টি বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাগরাকোটের লুপ ব্রিজের পাশে দুটি স্থান চিহ্নিত করেছি। সেখানে যানবাহন থামিয়ে পর্যটকরা ছবি তুলতে পারবেন এবং মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেতুটি মনোরম হওয়ায় তা উপভোগ করতে বিপুল সংখ্যক পর্যটককে আকর্ষণ করছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ভিউ পয়েন্ট নিয়ে সমীক্ষা করেছি। এনএইচআইডিসিএলের কাছ থেকে এবিষয়ে আমরা প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। তার ভিত্তিতে স্থানগুলি চূড়ান্ত করা হবে।’ জেলাশাসকের মতে, এই ভিউ পয়েন্টগুলি পর্যটকদের পাহাড়, উপত্যকা, কালিম্পং এবং এর আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার সুযোগ করে দেবে।
একইভাবে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নতুন ব্যবসা গড়ে উঠবে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও উৎসাহিত হবেন। যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। জেলা শাসক আরও জানিয়েছেন, যে ৭১৭এ নম্বর জাতীয় সড়ক বরাবর আরও আটটি স্থানকে পর্যটন সুবিধার স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে পর্যটকরা আরাম করতে পারবেন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, পাহাড়ে অবস্থিত লুপ ব্রিজটি ৪১ মিটার উঁচু একটি স্তম্ভের উপর নির্মিত। এর নকশার কারণে এটি ‘সাপের সেতু’ নামেও পরিচিত। যদিও গাড়ি দাঁড় করিয়ে নির্মীয়মাণ সেতুর ওপর সেলফি তোলা বা রিল বানানোর ওপর এখনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।