ধর্মতলায় পুলিশ অনুমতি ছাড়াই ধরনা দিচ্ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার মঞ্চ থেকে জয়নগরের মহিষমারির উদ্দেশে আজ, রবিবার রওনা দিলেন সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল। এবার ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের পক্ষ থেকে পাঁচজন সদস্য জয়নগর যাচ্ছেন। নিহত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন এই জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। টিউশন সেরে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। তারপর ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
যদিও এই ঘটনায় পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিন সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে আজ ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার বলেন, ‘জয়নগরের বুকে একটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা যে দশ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছি তার মধ্যে একটা দাবি ছিল যে আর একটা অভয়া যাতে না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম আন্দোলনের মধ্যেই চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে কি ঘটল। আরজি কর হাসপাতালে পুলিশের ভূমিকা দেখেছি। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মতো একইরকম ঘটনা আমরা জয়নগরেও দেখতে পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ‘কর্মবিরতি করলেন আবার স্টাইপেন্ডও নিলেন’, জুনিয়র ডাক্তারদের নিশানা কল্যাণের
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীর এক বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ জানতে পারে স্থানীয় এক যুবকের সাইকেলে চেপে ছাত্রীকে যেতে দেখা গিয়েছে। যুবকের নাম মোস্তাকিন সর্দার। ওই যুবককে জেরা করে পুলিশ মাঝরাতে দেহ উদ্ধার করে ছাত্রীর বাড়ির ১০০ মিটার দূরে থাকা পুকুর থেকে। গ্রেফতার করা হয় মোস্তাকিন সর্দারকে। কিন্তু দেবাশিস হালদারের বক্তব্য, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটা প্রতিনিধিদল পরিবারের পাশে থাকতে চায়। আর তাই আমরা সেখানে আজ যাচ্ছি। আমরা এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই, যে ঘটনাটা ঘটেছে তাতে বারবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এটা লজ্জাজনক। আমরা শোকস্তব্ধ। আমাদের বলার কোনও ভাষা নেই। পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই আজ আমাদের পাঁচজনের প্রতিনিধিদল সেখানে যাচ্ছি।’