পাকিস্তানে আটক বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউকে ফিরিয়ে আনতে সব রকমের চেষ্টা চালাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রবিবার রাতে ফোন করে নিখোঁজ জওয়ানের স্ত্রীকে এই আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতে বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী রজনীদেবীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় ৫ মিনিট ফোনে কথা হয়। তখনই রজনীদেবীকে আস্বস্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২৩ এপ্রিল পঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্ত পেরিয়ে পাক ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। এর পর পাক রেঞ্জার্সরা তাঁকে আটক করে বলে জানা গিয়েছে। হুগলির বাসিন্দা পূর্ণমের স্ত্রী রজনীদেবী গর্ভবতী। স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। পূর্ণমের খোঁজে ট্রেনে করে পৌঁছন পাঠানকোটে। সেখানে বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁরাও রজনীদেবীকে আস্বস্ত করেছিলেন।
এই ঘটনার পর পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। স্বামীকে ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় আরও গভীর হয় রজনীদেবীর মনে। বিষয়টিতে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেন তিনি। এর মধ্যে ঘোষণা হয় যুদ্ধবিরতির। আর তার পরই রবিবার রাতে রজনীদেবীকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে তিনি জানান, পূর্ণম কুমার সাউকে উদ্ধার করতে সব রকম চেষ্টা করবে তাঁর সরকার। এমনকী রজনীদেবীর চিকিৎসার কোনও প্রয়োজন হলে সরকার তার ব্যবস্থা করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ফোনে রজনীদেবী বলেন, ‘আমার স্বামীই কার্যত পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন। তিনিই সপ্তাহে সপ্তাহে টাকা পাঠাতেন। তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ। ফলে আমাদের কাছে কার্যত কোনও টাকা নেই।’ একথা শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিএসএফ যে ব্যাপারটা দেখবে না এটা বুঝতে পারিনি। দেখছি আমি অন্য কোনও সোর্স কাজে লাগাতে পারি কি না।’