ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোশাক কেনাবেচার উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে ছিল। সেখানে দুই যুবতীকে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস পোস্ট করতে দেখা গেল। তুমুল নৃত্যের সঙ্গে নানা অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এখন যুদ্ধ বিরতি চলছে। কদিন আগেই পাকিস্তানের হামলার জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী কড়া পদক্ষেপ করেছে। জম্মু–কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়ে ছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারপর থেকেই ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের বাতাবরণ তৈরি হয়। ‘অপারেশন সিঁদুর’ পাকিস্তানের ভিতকে কাঁপিয়ে দেয়। সেখানে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে এমন কাজ দুই যুবতী করতেই তাঁদেরকে গ্রেফতারের দাবিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সাইবার ক্রাইম থানায়।
এদিকে তাঁরা কেউ সেনাকর্মী নয়। অথচ সেনাবাহিনীর পোশাক পরে তুমুল নৃত্য করার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একেবারে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে উদ্দাম নৃত্য তাঁরা করেছে বলে অভিযোগ। যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। এই ঘটনার জেরে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন এক সিআরপিএফ জওয়ান। দুই যুবতীর ওই নাচে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই জওয়ান। সেনাবাহিনীর পোশাক পরে কাঁপা ব্রিজের উপর ভারত–পাক টেনশনের আবহে উদ্দাম নাচ অপরাজিতা কি দুলহানিয়া নামের পেজে আপলোড করা হয়। নদিয়া জেলার হরিণঘাটার দত্তপাড়া এলাকার বাসিন্দা অপরাজিতা গোলদার আর একজন যুবতীকে নিয়ে ওই ভিডিয়ো তৈরি করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস পরিষেবা বন্ধ, চালককে মারধরের অভিযোগ আসানসোল বরাকর রুটে
অন্যদিকে ওই দুই যুবতীর নাচ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি ব্রিজের মাঝখানে সেনার পোশাক পরে নাচছেন দুই যুবতী। চলছে নানারকম অঙ্গভঙ্গি। ওই ভিডিয়ো দেখে সাধারণ মানুষ থেকে সেনাকর্মী, প্রত্যেকেই তীব্র নিন্দা করেছেন। এবার ওই দুই যুবতীকে গ্রেফতারের দাবিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সাইবার ক্রাইমে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সেনাবাহিনীর পোশাক তাঁরা কোথায় পেলেন? এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিষেধ সত্ত্বেও কেন তারা এমন আচরণ করলেন? উঠেছে প্রশ্ন। আর একজন যুবতীর নাম সম্ভবত রীতা মণ্ডল।
এছাড়া দেশের স্বার্থে সেনাবাহিনীর পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ পহেলগাঁওয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোশাক পরেই এই নির্মম হামলা করা হয়েছিল। তারপর থেকেই খুব সতর্ক রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীর পোশাক নিয়ে। সেখানে এমন একটা ঘটনা বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে সকলকে। বাংলার নাম জড়িয়ে গেল এই কাজে। অনেকের অভিযোগ, বাংলায় নারীদের বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি অপরাজিতা। তবে অপরাজিতার বাবা নবকুমার মণ্ডল মেয়ের এই কাজকে সমর্থন না করে বলেন, ‘এটি অন্যায়। মেয়ে ভুল করেছে।’