এবার পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চেয়ে পোস্টার দিল জিএনএলএফ। জিটিএ নিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে সরে এসেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি উল্লেখ করেছেন, ‘পাহাড়–সমতলে আর আন্দোলন নয়। পাহাড়ের দাবি পৌঁছে দেওয়া হবে দিল্লিতে।’
এই পোস্টার বেশি দেখা যাচ্ছে কার্শিয়াংয়ে।
পাহাড়ে এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে। কারণ বহু বছর পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সঙ্গে থেকেই বিজেপির উপর চাপ বাড়াল জিএনএলএফ। আর তাতেই অন্য সমীকরণের গন্ধ পাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। শৈলশহরে এমন তপ্ত পরিবেশ ঘনিয়ে আসায় শীতলস্থলে গরম হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এবার পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় নতুন দাবি তুলে পোস্টার সাঁটিয়ে দিল জিএনএলএফ। তবে এই পোস্টার বেশি দেখা যাচ্ছে কার্শিয়াংয়ে।
জিএনএলএফ–এর দাবি ঠিক কী? নতুন পোস্টারে লেখা জিএনএলএফের দাবি, ‘পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই।’ অর্থাৎ সরাসরি বাংলার ভাগের কথাই তারা বলতে চেয়েছে। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ভাগের বিরুদ্ধে বারবার সওয়াল করেছেন। সদ্য তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি থেকেও বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। হিম্মত থাকলে বাংলা ভাগের কথা জনসভা করে বলতে বলেছেন তিনি। আর তারপরই কার্শিয়াং জুড়ে পোস্টার দিল জিএনএলএফ। আসলে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তারা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বছর ঘুরলেই ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তাই পাহাড়ে এখন থেকেই আবার জোরালো হচ্ছে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি। বাংলা ভাগের কথা আগে বলেছিলেন বিজেপি নেতা–মন্ত্রীরা। কিন্তু সেটা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। ফ্রেরুয়ারি মাসে যখন বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়েছিল, তখন আন্দোলনে নেমেছিলেন বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ডরা। তখন মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিল। আর শুরু দিনেই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল পাহাড়ে। এমনকী দার্জিলিংয়ে ভানু ভবনের সামনে অনশনে বসেছিলেন আন্দোলনকারীরা। যদিও শেষে বনধ স্থগিত হয়ে যায়।