ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে দরবার করতে দিল্লিতে গিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, সৌমেন মহাপাত্র থেকে শুরু করে রাজধানী পৌঁছেছেন বিধায়ক জুন মালিয়া, ঘাটালের তারকা সাংসদ দেব সহ মোট ৮ তৃণমূল জনপ্রতিনিধি। তাঁরা মঙ্গলবার বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াতের সঙ্গে। পরে বিকেলে নীতি আয়োগের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। আর এইসব বৈঠক শেষে সংবামাধ্যমের কাছে দেবের প্রতিক্রিয়া, বাঙালি কোনও ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত ঘাটালের বন্যা সমস্যার সমাধান হওয়া খুবই কঠিন।গত ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন নিয়ে দেবের স্পষ্ট বক্তব্য, যদি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে কোনও বাঙালি বসেন, তাহলেই ঘাটালের মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারবেন তিনি। আর তাহলেই বাস্তবায়িত হবে দীর্ঘ দিনের ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। তবে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী বলতে যে একমাত্র বিকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটা মনে করেন না তিনি। ঘাটালের মানুষের স্বার্থে যদি বিজেপির কোনও বাঙালি মুখও প্রধানমন্ত্রী হয়, তাতেও নাকি আপত্তি নেই দীপক অধিকারীর।দেব এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাটালের মানুষের কষ্ট। শুধু ঘাটাল নয়, দাসপুর-কেশপুর সমেত আমার লোকসভার মধ্যে যে যে এলাকা রয়েছে সেই সব এলাকাগুলো বন্যায় খুব বেশি ভুগছে। এই বছরের মতো বন্যা গত ৩০ বছরেও হয়নি এই এলাকায়। আমি গত ৭ বছর ধরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে লড়াই করছি। কিন্তু এতবার বলার পরও যখন কারোর কানে এই আওয়াজ পৌঁছয়নি। তখন থেকেই আমার মনে হয়েছিল যে একমাত্র যদি কোনও বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হয়, তা যদি বিজেপিরও কেউ হন, তাহলেও আপত্তি নেই। এমন একজনই ঘাটালের মানুষের কষ্টটা বুঝতে পারবেন। এরকম নয় যে ভোটের সময় আসবে সোনার বাংলা বলবে আর চলে যাবে, এরম কাউকে চাই না। একজন বাঙালি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে হয়তো এতবার করে আসতে হত না, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এতদিনে কাজ শুরু হয়ে যেত।'সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ঘাটাল ও আশপাশের এলাকা ভেসে যাওয়ার পর নতুন করে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই নিয়ে কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান। সেখানেই এই মাস্টার প্ল্যান কার্যকর না হওয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। অন্যদিকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এই ইস্যুতে রাজ্যকেই কাঠগড়ায় তোলে।