গুয়াহাটি থেকে বারাউনি পর্যন্ত মাটির তলা দিয়ে গ্য়াসের পাইপলাইন বসেছে। জলপাইগুড়ি শহর, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি হয়ে এই লাইন গিয়েছে। এই কাজের দায়িত্বে গেইল নামে সংস্থা। তবে এবার জলপাইগুড়ি থেকে সিকিমের রাজধানী গ্য়াংটক পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্য়মে প্রাকৃতিক গ্য়াস নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ। তবে এই পাইপলাইন বসানোর জন্য বিপুল জমির প্রয়োজন। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলাতেই এজন্য প্রায় চার হাজার বাসিন্দার কাছ থেকে জমি ব্যবহারের অনুমতি নিতে হবে। সেই মতো তাঁদের ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। আপাতত কতটা জমি লাগবে, কোথা দিয়ে পাইপ লাইন যাবে সেই সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ চলবে। আগামী বছর এপ্রিলের মধ্যে এই কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।তবে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছে সরকার। কারণ জলপাইগুড়িতে এই জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ব্যাপারে অতীতেও নানা জটিলতা হয়েছিল। তিস্তার বাঁ হাতি ক্যানেল সংক্রান্ত ব্যাপারে আগেই জমি জট তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে এখনও মাঝেমধ্য়েই ক্ষোভ বিক্ষোভ মাথাচাড়া দেয়। সেকারণে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ব্যাপারে অত্যন্ত সাবধানে পা ফেলতে চাইছে সরকার।তবে একদিকে যেমন জমি নিলে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, তেমনি ফসলের ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। আবার কোথাও ব্যক্তিগত গাছ কাটতে হলে তার ক্ষতিপূরণও মিলবে। সবটাই সমীক্ষা করে দেখা হবে। এক্ষেত্রে প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইন্দ্রধনুষ গ্যাস গ্রিড লিমিটেড। তবে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি জেলা প্রশাসন দেখবে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত ব্যাপারগুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে রয়েছে।সব মিলিয়ে কেবলমাত্র জলপাইগুড়ি জেলাতেই এই পাইপ লাইন পাতার জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রায় ২৭৩ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। ময়নাগুড়ি থেকে মালবাজার, সেখান থেকে কালিম্পং পাহাড় হয়ে সিকিমে যাবে এই পাইপ লাইন। পাহাড়ের উপর দিয়ে এই পাইপলাইন নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের।সূত্রের খবর, মূলত গেইলের পাইপলাইন থেকে গ্যাস নিয়ে সেটা সিকিমে সরবরাহ করা হবে। ময়নাগুড়ির কাছে গেইলের পাইপলাইন থেকে এই গ্যাস নেওয়া হবে। এরপর সেটি সরবরাহ করা হবে গ্য়াংটক পর্যন্ত।