সোমবার দফতরের আধিকারিকরা কারখানায় হানা দিয়ে দেখতে পান একেবারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই আইসক্রিম তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মেয়াদ আইসক্রিমে মেশানো হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ রঙ। এমনকী কারখানায় আইসক্রিমের পাশে পোকা ঘুরে বেড়াতে দেখেন আধিকারিকরা।
Ad
আইসক্রিমে কিলবিল করছে পোকা! হানা দিয়ে কারখানা বন্ধ করল খাদ্য সুরক্ষা দফতর
গরম পড়তেই ঠান্ডা পানীয় এবং আইসক্রিমের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কিন্তু, এক বিক্রেতার কাছ থেকে আইসক্রিম কিনে খেতে গিয়েই একেবারে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল এক ব্যক্তির। আইসক্রিম মুখে দিতে গিয়েই তিনি দেখতে পান আইসক্রিমে কিলবিল করে বেড়াচ্ছে পোকা! এমনই ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি খড়িয়া পঞ্চায়েতের শোভা বাড়ি এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সেই অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জলপাইগুড়ির ওই কারখানায় হানা দিয়ে কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল খাদ্য সুরক্ষা এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
জানা গিয়েছে, সোমবার দফতরের আধিকারিকরা কারখানায় হানা দিয়ে দেখতে পান একেবারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই আইসক্রিম তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মেয়াদ আইসক্রিমে মেশানো হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ রঙ। এমনকী কারখানায় আইসক্রিমের পাশে পোকা ঘুরে বেড়াতে দেখেন আধিকারিকরা। তারপরেই আইসক্রিম কারখানার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে দফতর। কারখানার সমস্ত আইসক্রিম নষ্ট করার পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী নষ্ট করে দেন আধিকারিকরা। এছাড়াও, অবিলম্বে আইসক্রিম কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারখানার মালিককে ধমক দেওয়ার পাশাপাশি বন্ধের নোটিশ ধরিয়ে দেন আধিকারিকরা।
এদিন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে অভিযানে ছিলেন জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকার। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে আইসক্রিম তৈরি করা প্রয়োজন। কিন্তু, ওই কারখানায় সেই বিধি মানা হয়নি। ফলে কারখানা আপাতত বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইসক্রিম তৈরি করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছ থেকে ওই কারখানার মালিককে ছাড়পত্র দিতে হবে। তবেই কারখানা চালু করা যাবে। যতদিন না ছাড়পত্র পাচ্ছেন ততদিন আইসক্রিম কারখানা বন্ধ থাকবে।