কাশ্মীরে বাঙালি সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু ঘিরে ক্রমেই রহস্য দানা বাঁধছে। পদোন্নতি হয়েছে, তারপরে মেয়ে পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে। তা নিয়ে বেশ খুশিতেই ছিলেন হাওড়ার সিআরপিএফ জওয়ান বরুণ দাস। তারপরেও কীভাবে তিনি আত্মহত্যা করলেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের স্ত্রী বিজলি দাস। এই ঘটনায় অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলেই তিনি মনে করেন। কী কারণে স্বামীর মৃত্যু হল? তা জানতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বরুণ দাসের স্ত্রী। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি সুবিচারের আর্জি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:পদোন্নতি, মেয়ের ভাল রেজাল্ট, তবুও 'আত্মঘাতী' আধা সেনা জওয়ান, উঠছে প্রশ্ন
হাওড়ার উদয়নারায়নপুরের কানুপাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়নগরের বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান বরুণ দাস। শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ তাঁর মৃত্যুর খবর পান বরুণ দাসের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের জানানো হয়েছিল, বরুণ নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তবে প্রথম থেকেই এই দাবি মানতে নারাজ বরুণ দাসের স্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, পরিবারে সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। তাছাড়া দিন চারেক আগেই হেড কনস্টেবল পদে উন্নীত হয়েছিলেন বরুণ। মেয়েও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছে। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কোনও অশান্তি ছিল না। এককথায় সুখেই কাটছিল তাদের জীবন।
বরুণের স্ত্রীর মতে, স্বামীর মানসিক অশান্তির কোনও কারণ ছিল না। কাজেরও কোনও চাপ ছিল না। কারণ ১৯ বছরের কর্ম জীবনে এর আগে তিনি অনেক কঠিন জায়গায় কর্মরত ছিলেন। তাই তিনি কোনওভাবেই আত্মহত্যা করতে পারেন না বলেই দাবি করেছেন বিজলি দাস। তিনি মনে করেন, এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। এটা শুধুমাত্র আত্মহত্যার ঘটনা নয়। তাই এই পুরো ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুবিচারের ব্যবস্থা করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন।