দলের মহিলা নেত্রীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগে বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী বংশগোপাল চৌধুরীকে বহিষ্কার করল সিপিএম। তাঁর বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ তুলেছিলেন মুর্শিদাবাদের ওই সিপিএম নেত্রী। তারপরেই দলের তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে। পরে কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বংশগোপালকে বহিষ্কার করে। শনিবার আলিমুদ্দিনের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা সামনে আনা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ থেকে ইস্যু ঘোরাতে এই হামলা, পহেলগাঁও নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল নেত্রী)
আরও পড়ুন: CPI(M)-এ হচ্ছেটা কী? কমরেডকেই ‘অশ্লীল মেসেজ’ পাঠালেন প্রাক্তন সাংসদ?
বংশগোপালের বিরুদ্ধে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল গত নভেম্বরে। পরে ফেব্রুয়ারিতে ওই সিপিএম নেত্রী বংশগোপালের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টে সরব হন। গত রবিবার ব্রিগেডে সভার পর থেকেই নেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা চ্যাটের সেই স্ক্রিনশট ভাইরাল হতে থাকে। এরপর বংশগোপালের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন দলের অন্যান্য মহিলা নেত্রী ও কর্মীরা। অনেকেই সেই পোস্ট শেয়ার করে বংশগোপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তাঁরা বাম জামানার মন্ত্রীর তথা প্রাক্তন সংসদ বংশগোপালকে চরিত্রহীন বলে কটাক্ষ করেন। কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? তাই নিয়ে সরব হন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে পড়তে হয় আলিমুদ্দিনকে। পরে বিষয়টি নিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ্যমকে জানান, দলের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। (আরও পড়ুন: ED দফতরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল নথি, দমকলের ১২ ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আগুন)
এদিকে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন বংশগোপাল। তিনি দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কোনও লবি কাজ করছে। গোটা ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যেতেই শনিবার রাতে আলিমুদ্দিনের তরফে অভিযুক্ত বংশগোপালকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণী মহিলা নেত্রী জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি দাবি করেছেন দলের কাজে তিনি খুবই সক্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি সক্রিয় থাকেন। বংশগোপাল সেখানে কমেন্ট করে তাঁকে উৎসাহ দিতেন। কিন্তু, একদিন গভীর রাতে বংশগোপাল তাঁকে অশ্লীল মেসেজ করেন। বিষয়টি নিয়ে গত নভেম্বর মাসে তিনি পার্টির জেলা সম্পাদককে অভিযোগ জানান মহিলা নেত্রী।কিন্তু, তারপরেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য সম্মেলনের সময় তিনি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গে বংশগোপালের ছবি দেখতে পান। তারপরে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বংশগোপালের কীর্তি ফাঁস করেন।