মাঝরাতে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির শব্দ অনেকেই পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা যে বানভাসী পরিস্থিতির আকার নেবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখতে পেলেন বাড়ির দালান থেকে রাস্তার মুদির দোকান সর্বত্রই জল ঢুকেছে। শুধু তাই নয়, নাগাড়ে বৃষ্টিতে বড় রাস্তা, অলিগলি সর্বত্র জল জমে গিয়েছে। রবিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে হুগলি–সহ বহু জেলার বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকে গিয়েছে। আর এই জল–যন্ত্রণা নিয়েই এখন ঘরবন্দি মানুষ।হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগণাতেও রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য জেলায় তো হয়েছেই। সকালের দিকে কিছুটা কমলেও বারিধারা অবিরাম চলছে। বালি, হাওড়ার সর্বত্র জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। আবার সারা রাতের বৃষ্টিতে গঙ্গার জলস্তর বেড়েছে অনেকটা। কলকাতায় লকগেট বন্ধ করা হয়েছে। জেলাতেও তা করা হয়েছে। না হলে চরম আকার ধারণ করবে। হাওড়ার পঞ্চাননতলা, ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাসও জলে ভাসছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমি অক্ষরেখার যৌথ দাপটে চলছে বৃষ্টি। সেটা সময়ে সময়ে বাড়বে। এখনই কমার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। আর তার জেরেই জলমগ্ন শহর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা। টানা বৃষ্টিতে জল জমেছে ঘরের ভিতরে। থাকা–খাওয়া থেকে সব কাজই করতে হচ্ছে জলের মধ্যেই। জলের জন্য বন্ধ দোকানপাট।তবে এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দাবি, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের কাছে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেহাল দশার জন্যই বৃষ্টিতে জল জমে যায় গ্রামবাংলায়। রেল আবাসন থেকে এলাকার বাড়ি—সর্বত্র জল ঢুকে যায়। এই জল–যন্ত্রণা নিয়েই রাস্তায় বেরোতে হচ্ছে। যদিও বেশিরভাগ মানুষই খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোচ্ছেন না।