প্রথমে খুন ভাদু শেখ। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জ্বালিয়ে দেওয়া হল আটজনকে। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের এই ঘটনা ফের একবার আয়নার সামনে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল সরকারকে। কিন্তু ঠিক কী থেকে এই দ্বন্দ্ব? এনিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে খোলাখুলিই জানালেন স্থানীয় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।এক তৃণমূল নেতার দাবি,স্থানীয় নদী থেকে যে বালি তোলা হচ্ছে সেখান থেকে টাকা আদায় করা হয় রোজ। পাথর খাদান থেকেও তোলাবাজি হয়। রামপুরহাট রিজিয়নে ভাদুর লোকজনই এটা নিয়ন্ত্রণ করত। ভাদু সম্প্রতি বলেছিল একটি নির্দিষ্ট জোন থেকে আদায় করা সব টাকা তিনি রাখবেন। কিন্তু কতটাকা ইনকাম হয় এই চক্র থেকে? তারও হিসাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সরকারি নিয়ম অনুসারে ট্রাক ভরতি করা হলে প্রতি ট্রাক থেকে ১০০০ টাকা তোলা হয়। আর ওভারলোডিং ট্রাক থেকে ২ হাজার টাকা করে তোলা হয়। রোজ গড়ে ৫০০-৭০০ ট্রাক চলাচল করে একাধিক রাস্তায়। তাহলেই বোঝা যায় কতটাকা আয় হয় রোজ? আর সেই টাকাই কি ঘুরপথে যেত ভাদুদের হাতে? দিনভর বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত শ'খানেক এই ধরণের ট্রাক এদিন দেখা গিয়েছে। হয় বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। নয়তো দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদিকে নিউটন শেখ নামে বড়শাল পঞ্চায়েতের এক সদস্য ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বালি, পাথর থেকে তোলাবাজি করত ভাদু। অনুব্রত মন্ডলের কাছে এনিয়ে একাধিক অভিযোগ করা হয়েছিল ভাদুর বিরুদ্ধে। অপর এক তৃণমূল নেতার দাবি, পুলিশ ও স্থানীয় রাজনীতির লোকজনও অজয় ও ময়ুরাক্ষী নদী থেকে অবৈধ বালি তোলার টাকার বখরা পেত।এদিকে আনারুল হোসেন অবশ্য ভাদুর বিরুদ্ধে নিউটনের তোলা অভিযোগ মানতে চাননি।কালু শেখ নামে এক বাসিন্দা বলেন, যে পরিবারের লোকজনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, ওই পরিবারের সঙ্গে ভাদুদের পুরানো শত্রুতা ছিল।