এই আইন অমান্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ দিলিপ ঘোষ। বিজেপির এই আইন অমান্য আন্দোলন আগেই ঘোষিত হওয়ায় সতর্ক ছিল পুলিশ। সকাল থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সহ আশেপাশের এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়।
Ad
বিজেপির এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান। নিজস্ব ছবি।
বিজেপির এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পশ্চিম মেদিনীপুরে। কয়েকশো বিজেপি কর্মী এদিন এসপি অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাদের বাধা দেওয়ার জন্য এসপি অফিসের বাইরেই মোতায়েন ছিল প্রচুর সংখ্যক পুলিশ। ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে পুলিশের। বিজেপির এই ঘেরাও অভিযানে নেতৃত্ব দেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। পশ্চিম মেদিনপুরের সুপার ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত বলে অভিযোগ তোলেন দিলীপ ঘোষ।
সারা রাজ্য জুড়ে অন্যায়, অপশাসন, পুলিশের অত্যাচার, বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে আজ সোমবার বিজেপির যুব মোর্চা এসপি অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল। সেই আইন অমান্য আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ধুমধুমার কাণ্ড বাঁধে। এই আইন অমান্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ দিলিপ ঘোষ। বিজেপির এই আইন অমান্য আন্দোলন আগেই ঘোষিত হওয়ায় সতর্ক ছিল পুলিশ। সকাল থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সহ আশেপাশের এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এই কর্মসূচির আগেই পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে প্রায় ২০০ মিটারের মধ্যে ৫০ টিরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়।
ঘেরাও অভিযান শুরু হওয়ার আগেই ৫ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বিজেপি কর্মীরা এসপি অফিসে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের আটকায় পুলিশ। ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে পুলিশের। শেষ পর্যন্ত এসপি অফিসের সামনে ধরনায় বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা।