কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি পেয়ে কাঁথিতে সনাতনী সম্মেলন করবেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামীকাল, বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। তাই সেটার পাল্টা দিতেই এই কর্মসূচি বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস এটা জানতে পেরেই বড় খেলা খেলে দিল। আর তাতেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুনতে পাবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই ব্যবস্থা এবার করে দেওয়া হয়েছে। যা জানতে পেরে এখন বেজায় খাপ্পা বিরোধী দলনেতা বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই একটি অডিয়ো বার্তা তৈরি করা হয়েছে। আর সেটি আজ থেকে গ্রাম, অঞ্চল, ব্লক, ওয়ার্ড এবং টাউনে প্রচার করতে বলা হয়েছে দলের তরফে।
ওই অডিয়ো বার্তা এতক্ষণে পৌঁছে গিয়েছে বিরোধী দলনেতার কানে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু সেটা রোখা যায়নি। এবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন যখন দিঘার জগন্নাথধামের উদ্বোধন হবে তখন নানা ব্যবস্থা করা হবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে। সুতরাং সনাতনী সম্মেলন বিরাট কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না জেলায় বলে মনে করা হচ্ছে। তার উপর রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের শর্ত। তাই সাঁড়াশি চাপে পড়লেন বিরোধী দলনেতা বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে জেলা সভাপতিরা বড় এলইডি স্ক্রিনে গোটা জেলা মুড়ে ফেলেছে। প্রত্যেকটি প্রান্তে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন দেখানো হবে। কাঁথিতেও সে ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: একাধিক মেট্রো স্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাব, নতুন নামগুলি জমা পড়েছে নবান্নে
এই এলইডি স্ক্রিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখাতে ডেকে আনতে হবে এলাকার মানুষকে। তাতে একদিকে অনুষ্ঠানও দেখানো হবে অপরদিকে জনসংযোগও হয়ে যাবে। স্থানীয় মানুষজন যাতে আসে এবং সেখানে যোগ দেন তার জন্য আয়োজন করা হবে জগন্নাথ দেবের ভোগ বিতরণ। সুতরাং খাবার ব্যবস্থা থাকবে। এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সম্প্রচারের সঙ্গে ভোগ খাওয়ানো হলে মানুষজন সেখানে আটকে থাকবেন। সেক্ষেত্রে সনাতনী সম্মেলন বিরাট কোনও মাত্রা পাবে না। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য বিশেষ নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। এখন বেশ গরম পড়েছে। তাই গরমে লাইভ সম্প্রচার দেখতে গিয়ে যাতে মানুষজন অসুস্থ না হয়ে পড়েন তার জন্য থাকছে ছাউনির বন্দোবস্ত।