দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরৎ আসা মহিলাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে দণ্ডি কাটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। তৃণমূলে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে দলগতভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। এবার সেই ঘটনায় শাসকের অস্বস্তি আরও বাড়ল। এবার সেই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট চাইল জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশন।এদিকে এটি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সংসদ এলাকার মধ্যে পড়ে। কমিশন তাঁর কাছেও এনিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে ডিজির কাছে এনিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে এই রিপোর্ট জানাতে বলা হয়েছে। তবে এবার সেই রিপোর্টে ঠিক কোন বিষয়টি তুলে ধরা হয় সেটাই দেখার।তবে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এনিয়ে কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন। তারপরেই এনিয়ে কমিশন নড়েচড়ে বসে। তবে রিপোর্ট পাওয়ার পরে কমিশন শেষ পর্যন্ত কী ধরনের পদক্ষেপ নেয় সেটাও দেখার।তবে বালুরঘাটের দণ্ডিকাণ্ডের সেই ঘটনা গোটা বাংলায় সাড়া ফেলে দিয়েছিল। তৃণমূল অন্দরেও এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূল নেতৃত্বও এনিয়ে আপত্তি তোলেন। এরপর দলের অন্দরে জেলাস্তরে কিছু রদবদলও হয়। তবে বিতর্ক থামেনি তারপরেও।গত বৃহস্পতিবার ঘটনার সূত্রপাত। সেদিন তপনে প্রায় ২০০ মহিলা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা তৃণমূলে ফিরে আসতে চান। সেই মতো প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে প্রায় এক কিমি রাস্তা পার্টি অফিস পর্যন্ত তারা দণ্ডি কাটেন। এভাবে আদিবাসীদের দণ্ডি কাটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে মহিলারা বলেছিলেন ভুল বুঝে তারা দণ্ডি কেটেছিলেন। কিন্তু তারপরেও বিতর্ক থামেনি। ইতিমধ্যে আদিবাসীদের সংগঠন এনিয়ে বালুরঘাটে মিছিল বের করেছিল। বিজেপির তরফ থেকেও এনিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূলের অন্দরেও। তবে এবার কমিশনের কাছে এব্যাপারে নালিশ জানিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তবে শেষ পর্যন্ত বালুরঘাটের দণ্ডিকাণ্ডের জল কতদূর গড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলা।