রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন এক ছাত্রী। কারণ হোয়াটসঅ্যাপে ওই ছাত্রীকে কুরুচিকর কথা লেখার অভিযোগ উঠেছে। তাই সাঁকরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন ওই ছাত্রী। আজ, মঙ্গলবার সাঁকরাইলের সক্রিয় ওই যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। আজ, মঙ্গলবার সেটা নিয়ে গোটা রাজ্যে হইচই শুরু হয়েছে। এটা কার্যত সাইবার ক্রাইমের অধীনে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এবার কলেজ ছাত্রী এফআইআর করলেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। কারণ অশ্লীল কুরুচিকর ভাষা প্রয়োগ করে হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে বলে অভিযোগ। গত ১৪ নভেম্বর বিরোধী দলনেতাকে হাওড়া সাঁকরাইলের এই কলেজ ছাত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠান। সেখানে লেখা ছিল, ‘গেট ওয়েল সুন’। তাতেই চটে যান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। আর ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে কুরুচিকর অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তাই এই এফআইআর করা হয়েছে।
কেন এই এফআইআর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে? শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেছেন হোয়াটসঅ্যাপে সেটা ওই কলেজ ছাত্রীর কাছে অশ্লীল বলে মনে হয়েছে। সাধারণ দৃষ্টিতে সেটা অশ্লীল বলা যায় এমনই অভিমত হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি কৈলাস মিশ্র এবং সাঁকরাইলের বিধায়িকা প্রিয়া পালেরও। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ, মঙ্গলবার সাঁকরাইল থানায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। কলেজ ছাত্রী উপর এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদও করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাঁকে গেট ওয়েল সুন কার্ড ও গোলাপ পাঠানো হয়েছে। এমনকী বাড়ির সামনে গিয়েছিল ছাত্র–যুব সংগঠনের সদস্যরা। পুলিশের হাতে সেটা দেওয়া হয়। কারণ বিরোধী দলনেতা তখন বাড়ি ছিলেন না। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলে আদালত জানিয়ে দেয়, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত করা যাবে না। বিকল্প পথ হিসাবে তখন হোয়াটসঅ্যাপকে বেছে নেওয়া হয়। সেটা মেনে নিতে পারেননি শুভেন্দু। উলটে কলেজ ছাত্রীকে অশ্লীল ভাষায় হোয়াটসঅ্যাপ করেন।