২০১৪ সালের চণ্ডীচরণকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এর আগে বহুবার আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তার জামিন নাকচ করে দিয়েছিল আদালত। অবশেষে জামিন মঞ্জুর হওয়ায় স্বস্তি পেলেন চণ্ডীচরণ। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল।
নেতাই গণহত্যা কাণ্ডে আরও এক অভিযুক্তদের জামিন।
নেতাই গণহত্যা মামলায় আট বছর পর জামিন পেলেন চণ্ডীচরণ করণ। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেছে। এই মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিল ফুল্লরা মণ্ডল। সেই যুক্তি দেখিয়েই চণ্ডীচরণ জামিনের আবেদন জানান। সেই আর্জি মেনে এদিন কলকাতায় হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।
২০১৪ সালের চণ্ডীচরণকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এর আগে বহুবার আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তার জামিন নাকচ করে দিয়েছিল আদালত। অবশেষে জামিন মঞ্জুর হওয়ায় স্বস্তি পেলেন চণ্ডীচরণ। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সিপিএম কর্মী রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে সেই গুলি চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪ মহিলা-সহ নয় গ্রামবাসীর। এছাড়াও জখম হন ২৮ জন। সেই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। প্রথমে মামলার তদন্ত করে সিআইডি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।
ওই ঘটনায় সিপিএমের তৎকালীন বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে-সহ ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মী গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নেতাই গ্রামের বাসিন্দা ফুল্লরা। ঘটনার সময় সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। গত অগস্টে সুপ্রিম কোর্টে তিনি জামিন পেয়েছিলেন।