প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলিপুরদুয়ারে দেখা করতে চেয়েছিলেন বাংলার চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা। কিন্তু তাঁরা মোদীর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। এনিয়ে কিছুটা হলেও হতাশ চাকরিহারা শিক্ষকরা। তবে সেই সঙ্গেই আলিপুরদুয়ার প্য়ারেড গ্রাউন্ড থেকে চাকরিহারাদের নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এতে অন্তত চাকরিহারা-রা কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানেন গোটা বিষয়টি।
চাকরিহারা এক শিক্ষক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের কথা বলেছেন। এতে কিছুটা হলেও আমরা বুঝতে পারছি যে তিনি আমাদের কথা জানেন। কিন্তু আমরা তো দেখা করতে চেয়েছিলাম, আমাদের যে প্রতিনিধিরা আলিপুরদুয়ারে রয়েছেন তাঁরা দেখা করতে চেয়েছিলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেখা করতে চেয়েছিলেন, আমরা হতাশ যে তিনি দেখা করলেন না। আমরা চাইব প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা করুন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আইনের লড়াই তো চলবেই। কিন্তু আমাদের কথা যদি আমরা সরাসরি পৌঁছে দিতে পারতাম তাহলে অবশ্য়ই ভালো লাগত।
সেই সঙ্গেই ‘সব সীমা ছাড়িয়ে এরা আজও নিজেদের ভুল মেনে নিতে রাজি নয়। উলটে দেশের আদালতকে দোষারোপ করছে।’ বলেছেন মোদী। আর তা নিয়ে এবার চাকরিহারা শিক্ষকের দাবি, বাস্তবিকই কোথাও দায় মেনে নেন না ওরা। তবে অফ ক্যামেরা হয়তো বলছেন দুর্নীতি হয়েছে। যারা করেছেন তারা এখন নেই। কিন্তু দায় স্বীকার করার যে ব্যাপার সেটা করছেন না। সেই সঙ্গেই চাকরিহারা শিক্ষক ফের আরও একবার জানিয়ে দিয়েছেন যোগ্য হয়ে তাঁরা পরীক্ষা দিতে চাইছেন না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি তাঁরা। তবে প্রধানমন্ত্রী অন্তত তাঁদের প্রসঙ্গ যে উত্থাপন করেছেন এতে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে চাকরিহারাদের প্রসঙ্গে কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
‘দুর্নীতির সব থেকে খারাপ প্রভাব পড়ে যুব সমাজের ওপর। গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবার এর মাধ্যমে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়। দুর্নীতি কী ভাবে চার দিক থেকে মানুষকে ধ্বংস করে তা আমরা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে দেখেছি। তৃণমূল সরকার তাদের শাসনে হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। তাদের সন্তানদের অসহায়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। তৃণমূলের দুর্নীতিবাজরা বহু গরিব পরিবারের সন্তানদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। এটা শুধু কয়েক হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা নয়, পশ্চিমবঙ্গের গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। শিক্ষকের অভাবে লাখ লাখ শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে। এত বড় পাপ তৃণমূলের নেতারা করেছেন।’ বলেন মোদী।
এখানেই শেষ নয়, মোদী আরও বলেন, ‘সব সীমা ছাড়িয়ে এরা আজও নিজেদের ভুল মেনে নিতে রাজি নয়। উলটে দেশের আদালতকে দোষারোপ করছে।’