রোজ স্কুলে যাওয়ার পথে সহ্য করতে হতো ইভটিজিং। নবম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীকে এলাকারই কয়েকজন যুবক। প্রথমে সে এড়িয়ে গেলেও পরে তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ। আর তাই এই ঘটনার কথা বাড়িতে গিয়ে সদস্যদের জানিয়েছিল। আর তাতেই তেতে ওঠে বাড়ির পরিবেশ। তখন ঠিক হয় মায়ের সঙ্গে ছাত্রী স্কুল এবং টিউশনিতে যাবে। এবার মায়ের সঙ্গে যখন স্কুলে যাচ্ছিল ছাত্রীটি তখনও পড়তে হল ইভটিজিংয়ের কবলে। তৎক্ষণাৎ ওই ছাত্রীর মা ঘটনার প্রতিবাদ করেন। গর্জে ওঠেন ওই বখাটে ছেলেদের উপর। তার জেরে ওই ছাত্রী এবং তার মাকে বেদম প্রহার করে ওই ছেলেরা বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বারুইপুর থানার অন্তর্গত বেতবেড়িয়া এলাকার ওই ছাত্রী ক্যানিংয়ের তালদির এক উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ে। প্রত্যেকদিন স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে হাত ধরে টানাটানি করা থেকে শুরু করে নানা অশ্লীল কথা বলত বলে অভিযোগ। এই ইভটিজিং করত স্থানীয় তালদির যুবক মনিরুল লস্কর এবং আজিদ লস্কর। কদিন আগে কুপ্রস্তাব দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এবার ওই ছাত্রীকে যখন উত্ত্যক্ত করা হচ্ছিল পথে তখন সঙ্গে ছিলেন ছাত্রীর মা। তিনি প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। আর তখনই মনিরুল লস্কর, আজিদ লস্কর–সহ কয়েকজন মিলে ওই ছাত্রী ও তার মায়ের উপর হামলা করে। বেধড়ক মারধর করা হয়। স্কুল আসতে দেবে না বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: জেল হেফাজতে রয়েছে ১২ জেএমবি জঙ্গি, বিচার প্রক্রিয়া থমকে আছে, নেপথ্য কারণ কী?
এই ইভটিজিংয়ের ঘটনার পর আক্রান্ত ছাত্রীর মা ক্যানিং থানায় গিয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় এখন ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে এলাকায়। আর এই অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর ওই যুবক এবং তাদের পরিবারের লোকজনরাও ছাত্রীর মাকে গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। আর ওই ছেলেরা শুধু মারধর নয়, মা–মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রবিবার মাঝরাতে পানাগড়ের রাস্তায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় চন্দননগরের যুবতী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। এখানেও ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। রেষারেষির জন্যই এম ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের দাবি। চন্দননগর থেকে অনুষ্ঠান করতে বিহারের গয়ায় যাচ্ছিলেন ওই যুবতী এবং তাঁর সঙ্গীরা। অভিযোগ, কজন মদ্যপ যুবক গাড়ি করে এসে ওই যুবতীকে কপ্রস্তাব এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছিল। এমনকী পানাগড় পর্যন্ত ধাওয়া করে। পানাগড় বাজারে যুবতীর গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করলে পথ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মারা যান সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়।