পথকুকুরদের মারধরের প্রতিবাদ করায় এক বালুচরি শিল্পীকে নির্মমভাবে খুনের অভিযোগ উঠল এলাকারই দুই যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল (মঙ্গলবার - ১২ মে, ২০২৫) রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণগঞ্জ গড়গড়ান এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম সুদিন পাল। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন সুদিনের ভাই অমিতাভ পালও। তাঁরা দু'জনই বালুচরি শিল্পী। এলাকার পথকুকুরদের এই দুই ভাই খুবই ভালোবাসতেন। তাঁরা নিয়মিত প্রতিরাতে রাস্তার কুকুরদের খাবার খাওয়াতেন, কোনও কুকুর অসুস্থ হলে তর চিকিৎসারও ব্যবস্থা করতেন।
কিন্তু, ওই এলাকারই বাসিন্দা দুই যুবক মাঝেমধ্যেই পথকুকুরদের ধরে মারধর করতেন। একই ঘটনা মঙ্গলবার রাতেও ঘটে। আর তাতে বাধা দেওয়াতেই সুদিন ও তাঁর ভাইকে ওই দুই যুবক মারধর করেন বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সুদিন ও অমিতাভ গাজন দেখতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তাঁরা দেখেন, এলাকার ওই দুই যুবক পথকুকুদের মারধর করছেন। অমিতাভ এর প্রতিবাদ করেন। তাতে আক্রমণকারীরা পালটা তাঁর উপরেই চড়াও হন বলে অভিযোগ। অমিতাভকে লাঠি দিয়ে মারধর করতে শুরু করেন তাঁরা। এটা দেখে সুদিন ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। ফলত, অমিতাভকে ছেড়ে সুদিনকে মারধর করতে শুরু করেন অভিযুক্তরা।
অমিতাভর দাবি, এই পরিস্থিতির মধ্যেই বিষ্ণুপুর থানায় চলে যান তিনি। সেখানে পুলিশকে সব জানান। কিন্তু, থানা থেকে ফেরার পথে রাস্তার উপর, তাঁদের বাড়ির কাছেই দাদা সুদিনকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এরপর সুদিনকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অমিতাভর দাবি, প্রতিবেশী ওই দুই যুবকই তাঁর দাদা সুদিনকে ইট দিয়ে থেঁৎলে খুন করেছেন! পুলিশ দুই অভিযুক্তকেই আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের ঘটনা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।