এখন বর্ষাকাল আসতে আরও কয়েকমাস বাকি। তবে মাঝেমধ্য়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। তবে এসবের মধ্যেই নতুন করে এল স্বস্তির খবর। এই স্বস্তির খবর আনল বাংলাদেশের ইলিশ।
তবে কলকাতার বাজারের খবর আজ নয়। আলিপুরদুয়ারে সুফল বাংলার স্টলে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ। সকাল সকাল এই খবরে একেবারে বাসিন্দাদের মধ্য়ে একরাশ খুশি এনে দেয়। এবার প্রশ্ন এই ধরনের ইলিশের দাম কেমন?
বাংলাদেশের মোটামুটি ২ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এই পদ্মার ইলিশ। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০ কেজি ইলিশ মাছ আলিপুরদুয়ারে এসেছে। এদিকে বাংলাদেশের ইলিশ আলিপুরদুয়ারে এসেছে এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
এদিকে সুফল বাংলার স্টলে এই ইলিশ আসার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে তা ফাঁকা হয়ে যায়। এতটাই ছিল চাহিদা। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ ৫৫টা বাংলাদেশি ইলিশ আনা হয়েছিল সুফল বাংলার স্টলে। আর বেলা ১টার মধ্য়েই তা কার্যত শেষ। এমনই চাহিদা। তারপরেও ইলিশ কেনার জন্য খোঁজ করেছেন অনেকেই।
তবে এরপরেও ইলিশ আসবে। আগামী ১৫ই জুন পর্যন্ত ক্রেতাদের চাহিদার দিকগুলি খেয়াল রেখে ইলিশ আনা হবে। আসলে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদাই আলাদা। অনেকেই চান অন্তত একবার বাংলাদেশের ইলিশ কিনতে। সেই সুযোগটাই পূর্ণ হয়েছে অনেকের। ১৮০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ কিনতেও পিছুপা হলেন না বাসিন্দারা।
এমনকী চাহিদা এমন হয়ে গিয়েছে অনেকে আবার আগাম বুকিং করে রাখছেন। যাতে ইলিশ এলেই তারা পেতে পারেন। এমনকী জামাইষষ্ঠীর সময় এই ইলিশ পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও খোঁজখবর করছেন অনেকে। তবে দাম যাই হোক না কেন বাংলাদেসের ইলিশের প্রতি অনেকেরই ঝোঁক থাকে। কারণ হল বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ আর গন্ধ। আর ২ কেজি, দেড় কেজির ইলিশ মানে তো একেবারে সোনায় সোহাগা। যারা এই ইলিশ খেয়েছেন তারা তার স্বাদ ভুলতে পারেন না।
তবে যেভাবে এই ইলিশের চাহিদা তাতে আগামী দিনে আরও বাংলাদেশের ইলিশ আনার কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ ক্রেতাদের চাহিদা। পরিস্থিতি এমনই যে হাতে টাকা নিয়ে বার বার ঘুরে যাচ্ছেন ক্রেতা। যদি ইলিশ পাওয়া যায়। আর যারা সেই ইলিশ সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন তাদের তো সত্যিই ভাগ্যবান।