প্রাথমিক স্কুলের এক ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে অপহরণের চেষ্টা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। বুধবার এক মহিলা তাকে চকোলেট ও উপহারের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ওই ছাত্রীকে। শেষ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষিকার উপস্থিত বুদ্ধি আর সতর্কতায় অল্পের জন্য রক্ষা পেল ছোট্ট ছাত্রীটি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। (আরও পড়ুন: ২৫% বকেয়া ডিএ মেটাবে না সরকার? ঘটনাক্রমে এল নয়া মোড়, মাথায় হাত পড়বে কর্মীদের?)
আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে সুন্দরবনে বেড়াতে এসে অপহরণ, স্ত্রীর বুদ্ধিতে উদ্ধার স্বামী, ধৃত ২
ঘটনাটি ঘটেছে গোরাবাজার ফেরিঘাটের পাশে বাপুজি পাঠাগার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। জানা যায়, দুপুরের দিকে প্রথম শ্রেণির ওই ছাত্রীর কাছে এক অচেনা মহিলা এসে দাঁড়ায়। তিনি জানান, তার মা তাঁকে পাঠিয়েছেন। তিনি জানান, ওই শিশুকে পড়াবেন। সেই সঙ্গে তাঁর হাতে ছিল চকোলেট ও রঙিন ক্লিপ। শিশুটি কিছুটা অবাক হয়ে যায়। সেই সময় চোখে পড়ে প্রধান শিক্ষিকার। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ঝুমা খাঁ বলেন, প্রথমে মনে হয়েছিল, কোনও অভিভাবক হবেন। কিন্তু কথাবার্তা শুনে অন্য কিছু মনে হয়। মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করতেই জানায়, সে মহিলাকে চেনে না। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ওই মহিলাকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সন্দেহ হয় প্রধান শিক্ষিকার। এরপর তিনি পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ধৃতের নাম মামনি সিংহ রায়। বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় থাকেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপহরণের উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া, জারি সতর্কতা)
আরও পড়ুন: দিল্লির সরকারি হাসপাতালে যৌন নির্যাতনের শিকার মহিলার মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায়
তবে ঘটনা এখানেই থামে না। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা একদিন আগেই, মঙ্গলবার, স্কুলে এসেছিলেন। তখনও ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, দিয়েছিলেন ছোটখাটো উপহার। প্রধান শিক্ষিকা সেই দিনই বিষয়টি খেয়াল করেন এবং ছাত্রীটির অভিভাবককে ফোন করেন রাতে। বুধবার সকলে মিলে সতর্ক হয়ে থাকেন। তাই দ্বিতীয় দিনের চেষ্টাও ধরা পড়ে যায়। (আরও পড়ুন: রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে পাক-চিন ও ইসলামের পাঠ্যক্রম বাদ দিতে পারে DU)
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, তাঁরা নিজের দায়িত্ব নিয়েই স্কুল চালান। কিন্তু বাইরের লোক কীভাবে ঢুকছে, সেটা ভাবাচ্ছে। আরেকটু দেরি হলে বিপদ ঘটে যেত। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অপর্ণা মণ্ডল জানিয়েছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। স্কুলে বহিরাগত কীভাবে ঢুকলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। তবে স্কুলের ভিতরে ঢুকে এভাবে অপহরণের চেষ্টাকে ঘিরে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।