এবার বীরভূমের বাড়ি থেকে চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ তাঁর বাড়ির ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা ছিল না। তাছাড়া দেহ শুধু অর্ধনগ্ন ছিল না। বরং চিকিৎসকের হাত–পা বাঁধা ছিল। তাই এটাকে খুন বলেই অনেকে মনে করছেন। দেহটি মেঝেতে পড়েছিল। এই ঘটনা প্রথম নজরে আসে এক প্রতিবেশীর। তারপর তিনি সবাইকে ডেকে আনেন। এলাকার মানুষ পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ কর্মীরা।
ঠিক কী ঘটেছে বীরভূমে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সোমবার এলাকার এক যুবক একটি চাবির প্রয়োজনে ওই চিকিৎসকের বাড়ি যান। অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ঠেলতেই তা খুলে যায়। তখন তড়িঘড়ি ওই যুবক উপরে উঠে যান। এই পরিস্থিতি দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। তাই ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন মাটিতে পড়ে রয়েছেন ওই চিকিৎসক। অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। আর তাঁর হাত–পা কাপড় দিয়ে বাঁধা রয়েছে। এই দেখে ওই যুবক প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, বীরভূমের নলহাটিতে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই চিকিৎসক এলাকায় বেশ পরিচিত এবং এখানে চার নম্বর ওয়ার্ডের রেল গেটের কাছে থাকতেন তিনি। মৃত চিকিৎসকের নাম মদন লাল চৌধুরী। ওই চিকিৎসক নলহাটিতে একাই থাকতেন। তাঁর পরিবার থাকেন কলকাতায়। এই বাড়ির দোতলার ঘর থেকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় চিকিৎসকের দেহ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে।