আষাঢ় মাস শেষে শুরু হতে চলেছে শ্রাবণ মাস। এই মাস শিবের অত্যন্ত প্রিয় মাস। এই মাসে ভক্তরা শিবের পূজা-অর্চনা করে তাঁর আশীর্বাদ লাভ করেন। তবে কিছু কাজ আছে যা শ্রাবণ মাসে করা উচিত নয়। এই বছর ১১ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাস শুরু হচ্ছে। তাই, মাস শুরু হওয়ার আগেই জেনে নিন কোন কোন কাজ সারা মাস জুড়়ে করা যাবে না।কী কী করবেন শ্রাবণ মাসে?১. আমিষ খাবার ও পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া - শ্রাবণ মাসে আমিষ খাবার (যেমন মাছ, মাংস) এবং পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া উচিত নয়। এই মাসকে সাত্ত্বিক থাকার মাস হিসেবে দেখা হয়। মনে করা হয়, এই ধরনের খাবার শরীরের উত্তাপ বাড়ায় এবং মনকে আধ্যাত্মিক সাধনা থেকে বিচ্যুত করতে পারে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বর্ষাকালে এ ধরনের খাবারে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।২. শাক-সবজি ও বেগুন খাওয়া - শ্রাবণ মাসে শাক-সবজি বিশেষত বেগুন খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই সময় প্রকৃতিতে কীট-পতঙ্গের উপদ্রব বাড়ে এবং শাক-বেগুনে পোকামাকড় থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়া, মনে করা হয় শ্রাবণ মাসে শাক খেলে পিত্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।৩. তেল মালিশ করা বা চুল-দাড়ি কাটা - শ্রাবণ মাসে শরীরে তেল মালিশ করা বা চুল-দাড়ি কাটা উচিত নয়। এই সময়ে শিব ঠাকুরকে তেল অর্পণ করা হয়, তাই শরীরে তেল মাখা অনুচিত বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, চুল-দাড়ি কাটা থেকে বিরত থাকাকে প্রকৃতির বৃদ্ধি এবং ফসলের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।৪. দিনের বেলা ঘুমানো - শ্রাবণ মাসে দিনের বেলা ঘুমানো এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এই মাসে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকালে ঘুম থেকে উঠে মহাদেবের পূজা-অর্চনা করা শুভ বলে মনে করা হয়। এতে ভোলেনাথ প্রসন্ন হন এবং আর্থিক সমস্যা দূর হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।৫. কাউকে অপমান করা বা খারাপ চিন্তা করা - শ্রাবণ মাসে কারোও সাথে খারাপ ব্যবহার করা, গুরুজনদের অপমান করা বা মনে খারাপ চিন্তা আনা একেবারেই উচিত নয়। এই মাসটি আধ্যাত্মিক শুদ্ধতা এবং মানসিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে সকলের প্রতি সদয় থাকা এবং মনকে শান্ত রাখা উচিত। এমনকি, গরু বা ষাঁড়কে আঘাত করা বা তাড়িয়ে দেওয়াও নন্দীকে অপমান করার সমান বলে মনে করা হয়, যা মহাদেবের রোষের কারণ হতে পারে।পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।