কৌশিকী অমাবস্যা ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথি। তন্ত্র সাধনার জন্য এই তিথি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, এই রাতে দেবী তারার আরাধনা করলে সব মনস্কামনা পূরণ হয়। যারা তারাপীঠে যেতে পারেন না, তারা বাড়িতেই সহজ কিছু নিয়ম মেনে মায়ের আশীর্বাদ পেতে পারেন। সন্ধের পর এই দিন বিশেষ উপায়ে প্রদীপ নিজের মনস্কামনা মাকে জানালে মা তা পূরণ করে থাকেন।
সন্ধেয় প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন - কৌশিকী অমাবস্যার দিন সন্ধেয় প্রদীপ জ্বালানোর জন্য প্রথমে ১৬টা গোলমরিচ নিন। সূর্যাস্তের পর একটা তামার পাত্রে ১১টা গোলমরিচ রেখে দিন। এবার বাকি ৫টা গোলমরিচ একটা প্রদীপের মধ্যে দিয়ে প্রদীপটা জ্বেলে দিতে হবে। এই প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের সময় আপনার মনের ইচ্ছে জানাতে হবে মাকে।
আরও পড়ুন - চন্দ্রের গোচরে সোনায় সোহাগা ৪ রাশির! প্রেম জমে ক্ষীর হবে, অফিসে বাড়বে সুনাম
বীজ মন্ত্র জপ - প্রদীপ জ্বালানোর পর মা তারার মন্ত্র একাগ্রে জপ করার নিয়ম রয়েছে। মা তারার বীজ মন্ত্র 'ওঁ হ্রীং স্ত্রীং হূং ফট্' ১০৮ বার জপ করতে পারেন। মা তারার এই বীজ মন্ত্রকে খুব শক্তিশালী বলে মনে করা হয়।
মনস্কামনা পূরণের জন্য কিছু কাজ
সাদা ফুল ও মিষ্টি: মা তারার ভোগের জন্য সাদা জবা ফুল, পদ্ম ফুল এবং সাদা মিষ্টি রাখুন। মায়ের প্রিয় এই জিনিসগুলো নিবেদন করলে তিনি দ্রুত প্রসন্ন হন।
দান: এই দিনে দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের অর্থ বা খাবার দান করা অত্যন্ত শুভ। এতে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং আপনার জীবনে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন - সিংহে এন্ট্রির পরই কৃপার মেজাজে বুধ! ৫ রাশির বাম্পার অর্থলাভ, চুকে যাবে ধারদেনা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: বাড়ির পরিবেশ পরিষ্কার এবং শান্ত রাখুন। কোনো ধরনের নেতিবাচক চিন্তা বা ঝগড়া-বিবাদ থেকে দূরে থাকুন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি শাস্ত্রের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।