বাড়ি বা অফিসের বিদ্যুৎসংযোগ ব্যবহার করেই দেওয়া যাবে চার্জ। বৈদ্যুতিক গাড়ির (EV) চার্জিং পরিকাঠামোর নিয়ম সংশোধন করল কেন্দ্র। অন্যদিকে ‘পাবলিক চার্জিং স্টেশন’ (পিসিএস) স্থাপনের জন্য বিডিংয়ের অনুমতি দিল সরকার। তার মাধ্যমেই বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সরকারি জমি বরাদ্দ করা হবে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করে।
কেন্দ্র জানিয়েছে, দুটি পর্যায়ে বড় আকারের পিসিএস চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ধাপে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ৪০ লক্ষের বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট শহরগুলিকে সেই আওতায় আনা হবে। এক্সপ্রেসওয়ে এবং এই বড় শহরগুলির সঙ্গেই দেশের প্রধান হাইওয়েগুলি সংযুক্ত৷ রাজ্যগুলির রাজধানী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সদর দফতর এবং এই শহরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত বড় শহরগুলি দ্বিতীয় পর্যায়ে কভার করা হবে। 'গাড়ি মালিকরা তাঁদের বাসস্থান বা অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করেই ইভি চার্জ করতে পারবেন। গার্হস্থ্য ব্যবহারের শুল্কই ঘরোয়া চার্জের জন্য প্রযোজ্য হবে,' বিবৃতি বিদ্যুত্ মন্ত্রকের।

সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে ৯.৪৭,৮৭৬টি রেজিস্টার্ড বৈদ্যুতিক যান রয়েছে। কিন্তু ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি (বিইই) অনুসারে সারা দেশে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১,০২৮টি পিসিএস ইনস্টল করা হয়েছে। অর্থাত্ ধীরে ধীরে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু মাঝ রাস্তায় সেগুলি চার্জ দেওয়ার সেরকম ব্যবস্থা নেই। ফলে পেট্রল ছেড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে গিয়ে পিছিয়ে আসছেন অনেকে। অন্যদিকে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবসায় প্রবেশে ভয় পাচ্ছে গাড়ি নির্মাতারাও।
সংশোধিত নির্দেশিকাগুলি বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে ৩০% বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। অন্যদিকে বাণিজ্যিক যানবাহনের ক্ষেত্রে ৭০%, বাসের জন্য ৪০% এবং দুই ও তিন চাকার জন্য ৮০%।