ঘরের মাঠে ফের আটকে গেল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। পোর্তোর বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পর এবার লা লিগায় অ্যাথলেটিক ক্লাব বিলবাওয়ের বিরুদ্ধেও গোলশূন্য ড্র করে খুশি থাকতে হল দিয়েগো সিমিওনের দলকে। তবে গোটা ম্যাচে ফুটবলের পরিবর্তে দুই দলের বিবাদই বেশি নজর কাড়ে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ থেকে দলের প্রথম এগারোয় বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন সিমিওনে। লুইস সুয়ারেজ ও জাও ফিলিক্সকে বেঞ্চে রেখে তাঁদের পরিবর্তে অ্যাঞ্জেল কোরেয়া ও আন্তোয়া গ্রিজম্যানকে সুযোগ দেন তিনি। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সুযোগ চলেও আসলেও হাফ ভলিতে শট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি গ্রিজম্যান। গ্রিজম্যান, রড্রিগো ডি পলরা বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও অ্যাটলেটিকোর হয়ে স্টেফান স্যাভিচের একটিমাত্র হেডারই তেকাঠির মধ্যে থাকে।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর প্রায় সঙ্গেই গোল সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেন করেয়া। অপরদিকে, দুরন্ত দক্ষতায় গোলরক্ষক ইয়ান ওব্ল্যাকের বিরুদ্ধে সরাসরি গোল করার সুযোগ পেলেও একেবারেই নিজের শট মিস করেন তিনি। গোলের সন্ধানে ফিলিক্স ও সুয়ারেজকে নামালেও কিছুতেই ডিফেন্স ভাঙা সম্ভব হচ্ছিল না। ৭৮ মিনিটে ম্যাচের এক অত্যন্ত বিতর্কিত সিদ্ধান্তে অ্যাথলেটিক ক্লাবের উনাই ভেনসেডরের মুখে আঘাত করার জন্য ফিলিক্সকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।

রিপ্লেতে স্পষ্টতই দেখা যায় ফিলিক্সের শার্ট ধরে বরং ভেনসেডরই তাঁকে ফেলে দিয়ে ফাউল করেন। স্বভাবতই এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ফিলিক্স নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন। রেফারি পর্তুগিজ তারকার অত্যাধিক প্রোস্টেটের জন্য তাঁকে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ও লাল কার্ড দেখান। ম্যাচের শেষের দিকে দুই দলই সম্পূর্ণভাবে নিয়ম শৃঙ্খলা শিকেয় তুলে দেওয়ায় উভয় দলেরই একাধিক ফুটবলার কার্ড দেখেন।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অ্যাটলেটিকো জয়ের সন্ধানে অনবরত চেষ্টা করতে থাকলেও ইনজুরি টাইমে সবথেকে বড় সুযোগটি পেয়ে যান বাস্ক ক্লাবের অ্যাসিয়ার। তবে তিনি নিজের শটটি বারের উপর দিয়েই মারায় ম্যাচ গোলশূন্যই শেষ হয়। তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হলেও ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে যায় অ্যাথলেটিকো।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।